সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের ভিড়, রুম খালি নেই ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত

প্রকাশিতঃ ১ জানুয়ারী ২০১৭ | ৭:৫৭ অপরাহ্ন

মো. শাহাদত হোছাইন, কক্সবাজার : রোববারও লাখো পর্যটকে মুখর ছিল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এবং বছরের শেষ র্সুযাস্ত দেখতে নানা বয়সের মানুষের মিলনমেলায় পরণিত হয় সমুদ্র সৈকত। সেই সঙ্গে টানা ৩ দিনের বিচ র্কানিভালের কারণে কক্সবাজার এখন ২ লাখ র্পযটকের শহর।

নিরাপত্তার কারণে রাতের সব আয়োজন প্রশাসন থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হলেও বিভিন্ন হোটেলের বলরুম আর বাসাবাড়তিে চলছে ডিজে পার্টি, নাচগানসহ নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সমুদ্র সৈকত ও আশপাশের এলাকায় নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

রোববার দুপুরে সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, টানা ছুটি কাটাতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের কয়েক কিলোমিটার এলাকা লাখো পর্যটকে মুখর। সাগরের জলরাশিতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন তারা। সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভাসিয়ে দিচ্ছেন কেউ কেউ। আবার কেউ আনন্দঘন এ র্মুহূতটাকে ক্যামরাবন্দি করতে ব্যস্ত।

ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে আসা আসমা সৈকতের লাবণী পয়েন্টে পরিবার নিয়ে ছাতার নিচের বসে উপভোগ করছিলেন সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্য। তিনি বলেন, টানা ছুটিতে শহর ছেড়ে পরিবার নিয়ে কক্সবাজার সৈকতে ছুটে এসেছেন নির্মল আনন্দ উপভোগ করতে।

মিরপুর থেকে পরিবার নিয়ে আসা রাহুল জানান, র্দীঘ দুই বছর পর কক্সবাজারে আসলাম। এখানে এলে মন ভালো হয়ে যায়।

সমুদ্রসকৈত ছাড়াও পাথুরে বিচ ইনানী, পাহাড়ি ঝরণার হিমছড়ি, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, বঙ্গবন্ধু সাফারি র্পাকও র্পযটকের পদচারণায় মুখরিত। সাগর সৈকতের পাশাপাশি এসব র্পযটন স্পটে ফিরে এসেছে নতুন প্রাণ।

সৈকতের ছাতা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসান জানান, কক্সবাজারে এখন পর্যটকদের প্রাণের উচ্ছ্বাস চলছে। এই উচ্ছ্বাসের মধ্যদিয়ে আমরা বিগত বছরগুলোর লোকসানগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবো বলে আশা করছি।

কক্সবাজার গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশমে সিকদার জানান, এবারের থার্টিফার্স্ট উপলক্ষে র্পযটকদের বিপুল সাড়া পাওয়া গেছে। যা বিগত বছরগুলোকে হার মানিয়েছে।

হোটেল ওশান প্যারাডাইসের চেয়ারম্যান, নুরুল করিম জানান, ১৫ ডিসেম্বর থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো কক্ষ খালি নেই। আগামী ১৫ জানুয়ারি র্পযন্ত তাদরে বুকিং আছে।

সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত লাইফ গার্ডের ইনর্চাজ ছৈয়দ নুর জানান, সৈকতের সী-ক্রাউন, সী ইন, সী-গাল, লাবণী, শৈবাল ও ডায়াবেটিকসহ সব পয়েন্টে আমাদের লাইফগার্ড র্কমীরা রয়েছে। তারা প্রতি মুর্হূতে র্পযটকদের সেবায় কাজ করছে।

কক্সবাজার ট্যুরস্টি পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের শতভাগ প্রস্ততি রয়েছে। সমুদ্রসৈকত, হিমছড়ি ইনানী, দরিয়া নগরসহ ৭টি পর্যটন স্পটে কাজ করে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। বাড়তি পর্যটকের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ অতরিক্তি পুলিশ সদস্যসহ যাবতীয় সরঞ্জাম বাড়ানো হয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেন জানান, কক্সবাজারে ১ লাখ ২০ হাজার পর্যটক থাকার সিট থাকলেও গতকাল প্রায় ২ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটে। পর্যটকদের যাতে কোনো ধরনের হয়রানি না হয় সে জন্য ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে কয়েকটি টিম করা হয়েছে। এসব টিম আগামীকালও সৈকত এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে।