খাবারের কষ্টে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা রোগীরা


আবছার রাফি : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত ঘোষণা করা চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে খাবার নিয়ে কষ্টে আছেন রোগীরা।

জেনারেল হাসপাতালে ১৪ দিন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন সাতকানিয়ার ছাত্রলীগ নেতা মো. রোমন। সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছেন তিনি। হাসপাতালে অবস্থানকালীন সময়ে খাবার নিয়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন রোমন।

তিনি একুশে পত্রিকাকে বলেন, ১৪দিন মিলে শুধুমাত্র একবার ২০০ গ্রামের একটি পানির বোতল দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে শুভার্থীদের মাধ্যমে পানি সংগ্রহ করে পান করেছি। পানি চাইলে, তারা পানি সঙ্কটে রয়েছেন বলে জানান ওখানকার দায়িত্বরতরা।

রোমন বলেন, দু’বেলা খাবার দেওয়া হলেও রোজার দিনে সেহেরী ও ইফতারের কোনো ব্যবস্থাই করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উপায়ন্তর না দেখে দুপুরের খাবার দিয়ে ইফতার আর রাতের খাবার দিয়ে সেহেরি সেরেছি। শুরুর দু’দিন খেজুর খেয়েই রোজা রেখেছি আমি। খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা হাসপাতালের কর্মী সুফিনা বলেছেন সেহেরি আর ইফতারের জন্য সরকার কোনো বরাদ্দ দেয়নি বলে তারা দিতে পারছেন না।

খাওয়া-দাওয়ার এমন দূরবস্থা কথা বললেও কর্তব্যরত ডাক্তার ও চিকিৎসাকর্মীদের আন্তরিকতার ভূয়সী প্রশংসা করে রোমন বলেন, দায়িত্বরত ডাক্তার ও চিকিৎসাকর্মীদের আন্তরিকতার কথা না বললে নয়, তাঁদের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে আজ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছি। তাঁদের অন্তরের অন্তস্তল থেকে ধন্যবাদ জানাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ একুশে পত্রিকাকে বলেন, পানির জন্য ওয়াটার পিউরিফিকেশন ডিভাইস বসিয়েছি। আগে খাবারের জন্য প্রতিদিন জনপ্রতি ১৫০ টাকা বরাদ্দ ছিলো যা এখন বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে।

সেহেরি ও ইফতারের ব্যবস্থা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোগী বললে অবশ্যই সেহেরি ও ইফতারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। খাবার নিয়ে সমস্যা থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে প্রতিবেদককে হাসপাতাল ঘুরে যাবার কথাও বলেন তিনি।