‘মিথ্যা করে হলেও বলো, ভালোবাসি’ শীর্ষক হাতেলেখা চিঠি প্রতিযোগিতা

চট্টগ্রাম : লেখালেখির শুরুর দিক থেকেই মানুষ মনের কথা বলতে অথবা নিতান্তই কেজো বার্তা পাঠাতে চিঠির সাহায্য নিতো। এভাবে মানুষের দিন চলছিল বেশ। এই চিঠির আদান-প্রদানের কাজ করতো ডাক পিয়নেরা। চিঠিপত্রের প্রতি মানুষের ভালোবাসা এতটাই গভীর ছিল যে, নিজের প্রিয়জনের মতো এই মানুষগুলোর বিষয়েও মানুষ হৃদয়ের টান অনুভব করত। শিল্প সাহিত্যের অগ্রগতিতেও চিঠিপত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে যুগ যুগ ধরে।

আধুনিক যুগে এসেও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের চিঠিগুলো পাঠকদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। রবীন্দ্রনাথ তাঁর নিজের চিঠিপত্রে দেখিয়ে দিয়েছেন শিল্প-সাহিত্যের ছোঁয়া পেলে কীভাবে নিজের মনের কথা প্রিয়জনদের কাছে পৌঁছে দিতে পারে। মোতাহার হোসেনকে লেখা নজরুলের চিঠিখানি পড়তে গিয়ে যে কারো চোখের জল গড়িয়ে পড়বে। দ্রোহের কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর লেখা চিঠিগুলো ছিল এক কথায় অসাধারণ!

তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া পেয়ে ধীরে ধীরে চিঠির এই সুদিনগুলো কমতে থাকে টেলিগ্রাফের আবির্ভাবের পরে। আস্তে আস্তে মানুষ দ্রুত এবং সুরক্ষিত বার্তার দিকে এগিয়ে যায়। বলতে গেলে এখন তো ইমেইলও পুরোনো হওয়ার পথে। তবুও লিখিত চিঠির শেষ বংশধর হয়ে এখনো পর্যন্ত একমাত্র ইমেইলই টিকে আছে। হাতের লেখা চিঠির পুরোনো ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং আগ্রহীদের চিঠিপত্র লেখার একটি সুযোগ তৈরি করে দিতে সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে বাংলা কবিতা ভিত্তিক ফেসবুক পেজ “কবিতা” ও “রোটারি ক্লাব অব চিটাগং পোর্ট সিটি” ‘হাতের লেখা চিঠি প্রতিযোগিতা ২০২০’ এর আয়োজন করতে যাচ্ছে।

কবিতা ও রোটারি ক্লাব অব চিটাগং পোর্ট সিটির পক্ষ থেকে নজরুল হায়দার একুশে পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ‘হাতে লেখা চিঠি প্রতিযোগিতা আমাদের চিঠি লেখার হারানো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে কিছুটা অনুভব করতে এবং ভবিষ্যতে চিঠি লেখাকে উৎসাহ দিতে অনুপ্রেরণা দিবে।’

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নিয়ম : *চিঠিতে দুইটি খাম ব্যবহার করবেন, একটি খামে প্রাপক লেখবেন যাকে উদ্দেশ্য করে চিঠিটি লেখেছেন। অন্য খামে আমার নিম্নের ঠিকানার কুরিয়ার সার্ভিসে পাঠাবেন।

শর্তাবলি : ১. চিঠির ভাষা অবশ্যই বাংলা মাধ্যমে হতে হবে। ২. চিঠি লেখকের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা ও ফোন নাম্বার উল্লেখ থাকতে হবে। ৩. একজন একের অধিক চিঠি পাঠাতে পারবেন না । ৪. চিঠির ভাষা অবশ্যই পরিমার্জিত, সাবলীল হতে হবে। ৫. চিঠি অবশ্যই আগামী ৩০ মার্চ ২০২০-এর মধ্যে পৌঁছাতে হবে।

চিঠি পাঠানোর ঠিকানা : ১. কুরিয়ারে প্রাপক জাকিয়া সুলতানা জ্যোতি, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস, ফোন : ০১৭৮২৯৩৭৬৯৭ ২। ইমেইলে Kobitaofficial2018@gmail.com আপনার পূর্ণ নাম, ঠিকানা লেখতে হবে। বাংলাদেশের বাইরে থেকে পাঠাতে চাইলে ইমেইল প্রযোজ্য হবে। সেরা ৩ চিঠিদাতা বন্ধুদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় উপহার। সেরা ১০টি চিঠি নির্বাচন করে, কবিতা পেজে পোস্ট করা হবে। উপহার স্পন্সর করবে – রোটারি ক্লাব অব চিটাগং পোর্ট সিটি, রোটারেক্ট ক্লাব অব চিটাগং লেক সিটি, কবিতা টিভি।

চিঠি নির্বাচন কমিটিতে রয়েছেন – জিন্নাহ চৌধুরী, জাকিয়া সুলতানা জ্যোতি, আনিকা ইফতি, উম্মে হাবিবা ববি ,বুশরা হাবিবা নজরুল হায়দার।

একুশে/প্রেসবিজ্ঞপ্তি