সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

মোশাররফের এপিএস দপ্তর সম্পাদক, বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট মহিলা সম্পাদক!

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ

প্রকাশিতঃ ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০ | ৩:৪৫ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি, আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম মেম্বার ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) নূর খানকে।

অন্যদিকে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের ভাতিজি লন্ডন প্রবাসী প্রিয়াংকা ইয়ামিন আহসানকে একই কমিটিতে মহিলা বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে, যিনি ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনে বিএনপি প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমানের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন ছিলে বলে অভিযোগ আছে। প্রিয়াংকা আবদুল্লাহ আল নোমান ছাড়াও গণিপরিষদ সদস্য প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল হারুনেরও ভাতিজি।

অভিযোগ ওঠেছে, রাজনীতিই আশৈশব যাদের ধ্যান-জ্ঞান, নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে রাজনীতির অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ- এমন অনেক ত্যাগীদের ঠাই হয়নি প্রস্তাবিত কমিটিতে, আবার অনেকেই হয়েছেন অবনমিত।

অভিযোগ রয়েছে, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের শতভাগ আস্থাভাজন, আজ্ঞাবহরাই কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন। ন্যূনতম মতবিরোধ আছে কিংবা আনুগত্য, আস্থার প্রশ্নে যাদের নিয়ে সন্দেহ, সংশয় আছে তাদেরকে বেছে বেছে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। একসময় পছন্দের তালিকায় ছিলেন, কোনো কারণে এখন নেই- সেরকম লোকজনকে কমিটির সদস্য রেখেছেন নিতান্তই অপারগ হয়ে।

যেমন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক, একসময় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ইউনুস গনি চৌধুরীকে প্রস্তাবিত কমিটিতে স্রেফ সদস্য রাখা হয়েছে; যিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে হাটহাজারী আসন থেকে মনোনয়ন পেয়ে পরে জোটগত স্বার্থে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ছেড়ে দিয়েছিলেন।

একইভাবে মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিদায়ী কমিটির আগের কমিটির সহ সভাপতি। গত কমিটিতে একলাফে অবনমন হয়ে তার স্থান হয় সদস্য পদে। এবারও তাকে সদস্য রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের আশীর্বাদপুষ্ট প্রয়াত রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনিকে গত কমিটিতে প্রথমবারের মতো সদস্য করা হয়। এরপর তিনি সংরক্ষিত আসনের এমপি হন। এবারের কমিটিতে তাকে করা হয়েছে ১ নং সাংগঠনিক সম্পাদক।

’৮০’র দশকের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন আতাউর রহমান আতা, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী। মাঝপথে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আতাউর রহমান আতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের আস্থাভাজন হিসেবে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক হলেও তার কমিটির ছাত্রলীগের সেক্রেটারি মঞ্জুরুল আলম চৌধুরীকে কমিটিতেই রাখা হয়নি, ‍যিনি ছিলেন সদ্যগত কমিটির সদস্য।

’৮০’র দশকের গোড়ার দিকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন নুরুল হুদা। এখনো রাজনীতিতে তিনি সক্রিয়, কিন্তু প্রস্তাবিত জেলা কমিটিতে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন শাহকে প্রচার সম্পাদক থেকে পদোন্নতি দিয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। অথচ ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফটিকছড়ির জামায়াত-শিবিরের দুর্গ ভেদ করে রাজনীতিতে উঠে আসা, সাম্প্রতিক সময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া আবু তৈয়বকে কমিটিতেই রাখা হয়নি।

একইভাবে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাজীবুল আহসান সুমনকে প্রস্তাবিত কমিটিতে সদস্য রাখা হলেও ছিটকে পড়েছেন ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুরুল আলম। পক্ষান্তরে ইউনুছ গনি-দেবাশীষ পালিত কমিটির ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিতকে সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে পদোন্নতি দিয়ে করা হয়েছে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। যদিও রাজনীতিতে দেবাশীষের ত্যাগ-অবদান নিয়ে তেমন প্রশ্ন নেই।

১৯৯২ সাল থেকে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে গত কমিটির সহ সভাপতি পর্যন্ত হয়েছেন সিরাজদৌল্লাহ চৌধুরী। বিস্ময়করভাবে সেই পুরোনো, ত্যাগী নেতা সিরাজদৌল্লাহ প্রস্তাবিত কমিটি থেকে একেবারে বাদ পড়েছেন। সদ্য বিদায়ী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল আলম বাবুর পদাবনতি হয়েছে প্রস্তাবিত কমিটিতে। তাকে রাখা হয়েছে সদস্য পদে। এছাড়া প্রস্তাবিত কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন বিদায়ী কমিটির সদস্য এম এম বাকের।

অভিযোগ আছে, মিরসরাইয়ের সন্তান ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের আস্থাভাজন নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার রাজনীতিতে খুব বেশি সক্রিয় নন। মূলত নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটান তিনি। এরপরও গত কমিটিতে তিনি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক। আর এবারের কমিটিতে অনেকটা ডাবল প্রমোশন! পদোন্নতি পেয়ে তিনি হয়েছেন নতুন কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।  ফটিকছড়ির সন্তান ব্যারিস্টার তানজিবুল আলম ঢাকায় আইনপেশায় ব্যস্ত সময় কাটান। প্রস্তাবিত কমিটিতে তাকে করা হয়েছে আইন বিষয়ক সম্পাদক।

এদিকে, প্রস্তাবিত কমিটির এমন অসঙ্গতি, স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে একদল নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সংসদ ভবন কার্যালয়ে দেখা করে তাদের ক্ষোভ ও কষ্টের কথা তুলে ধরেন।

জানা গেছে, সব শুনে এবং জেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট নেতাদের ভূমিকায় উষ্মা ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন এবং বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বঞ্চিত নেতাদের। এর আগে বঞ্চিত নেতারা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গেও দেখা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে অংশ নেয়া নেতৃবৃন্দরা হলেন নুরুল হুদা, গিয়াস উদ্দিন, ইউনুছ গনি চৌধুরী, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, তৌহিদুল আলম বাবু, এস এম আবু তৈয়ব, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, এস এম বাকের। এছাড়া পাশ বরাদ্দ হলেও দেরিতে পৌঁছার কারণে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎপর্বে অংশ নিতে পারেননি সিরাজদৌল্লাহ চৌধুরী ও মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বৃহস্পতিবার সকালে একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা দেখা করে বাস্তবচিত্র নেত্রীর কাছে তুলে ধরে বলেছি, আপনার নির্দেশ আমাদের কাছে শিরোধার্য। আপনি যেই সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা অবনত মস্তকে মেনে নেব। পদে থাকতে হবে এমন কথা নেই, সমস্ত ষড়যন্ত্র, ঝড়-ঝঞ্জা উপেক্ষা করে আমৃত্যু আপনার কর্মী হয়েই থাকতে চাই।’

‘অতীতে মোশাররফ ভাই কমিটি করে পাঠালে সাথে সাথে অনুমোদন হয়ে যেতো। এবারই প্রথম প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় কমিটির অনুমোদন আটকে গেলো। বিষয়টি নেত্রী গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন বলে এমনটি হয়েছে। এটাই আমাদের অর্জন, প্রাপ্তি।’ বলেন গিয়াস উদ্দিন।

ইউনুস গনি চৌধুরী বলেন, ‘রাজনীতিতে ছোটখাট মতপার্থক্য, মতবিরোধ থাকতে পারে। সেই মতপার্থক্য ঘুচিয়ে সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করা, ত্যাগের মূল্যায়ন করা এটাই হচ্ছে সুস্থ রাজনীতি। মোশাররফ ভাই আমাদের প্রিয় নেতা, অভিভাবক। তার জীবদ্দশায় পদ-পদবী বণ্টনে এমন অসঙ্গতি কারো কাম্য নয়। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি সিরিয়াসলি নিয়েছেন এবং আমাদেরকে মমতায় জড়িয়েছেন। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’

এদিকে, এপিএস নুর খানকে দপ্তর সম্পাদক কেন করেছেন তার ব্যাখ্যা ও যুক্তি উপস্থাপন করেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বৃহস্পতিবার সকালে একুশে পত্রিকাকে তিনি বলেন, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া যে পন্থায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন সেভাবেই আমার এপিএস নুর খানকে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে। তাছাড়া তার ব্যাপারে কমিটির অন্যান্য সদস্যদের আগ্রহও ছিল।

‘বিপ্লব বড়ুয়া ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। নানা ধাপ পেরিয়ে তিনি দলের দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন। রাজনীতিই তার মূল কাজ। পাশাপাশি নেত্রী তাকে বিশেষ সহকারী করেছেন। বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই যুক্তি কি নুর খানের বেলায় প্রযোজ্য হবে! তাছাড়া নুর খান তো কখনো ছাত্রলীগ করেননি। ‘৯১ সাল থেকে আপনার ব্যক্তিগত স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এটাই শুধু তার যোগ্যতা- প্রতিবেদকের পাল্টা প্রশ্নে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তাঁর দাবি নূর খান ছাত্রলীগ করেছেন।

অন্যান্য নেতাদের ‘অবনমন’ কিংবা বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে যারা লাফালাফি করছে তাদেরকে রাস্তা থেকে তুলে এনে আমিই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করেছি, নেতা বানিয়েছি। প্রস্তাবিত কমিটিতে সবাই বাদ পড়েনি, কেউ কেউ এখনো সদস্য আছেন এবং যারা বাদ পড়েছেন তাদের কারো কারো বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, অস্ত্রবাজি ও হুমকি-ধামকির অভিযোগ আছে জানানোর পর টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকবার টেলিফোন করেও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। প্রতিবারই রিং হয়, কিন্তু ফোন রিসিভ হয় না।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা নতুন কমিটির দপ্তর সম্পাদক নূর খান মোশাররফ হোসেনের ব্যক্তিগত স্টাফ হয়েও মোশাররফ ভাইয়ের পাশাপাশি রাজনীতির জন্য অবদান রেখেছেন দাবি করে বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে নূর খান মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে আছেন। মোশাররফ ভাইয়ের পাশাপাশি আমাদের দলের জন্যও তার ত্যাগ ও অবদান আছে। সেইসব বিবেচনায় তাকে দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে।

মহিলা সম্পাদিকা প্রিয়াংকা ইয়ামিন আহসান সম্পর্কে আতাউর রহমান আতা বলেন, তার বাবা আবদুল্লাহ আল আহসান আমাদের সাথে উত্তর জেলায় রাজনীতি করেছেন। তাছাড়া তিনি মালেক উকিলের নাতনি। সেসব বিবেচনায় তাকে মহিলা সম্পাদক করা হয়েছে। তবে ২০০৮ সালে আবদুল্লাহ আল নোমানের এজেন্ট হিসেবে প্রিয়াঙ্কা আহসানের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি জানা নেই বলে জানান আতাউর রহমান আতা।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জানুয়ারি সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের এপিএস নূর খানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্তের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।