তথ্যপ্রযুক্তি : ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধুমাত্র একটি পদ্ধতিই নয়, একটি প্রতিশ্রুতিও বটে। এ প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। এ অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি মহান মুক্তিযুদ্ধের আত্মত্যাগের আদর্শকে বহন করে, যা ছিল স্বাধীন বাংলার মানুষের জন্য একটি উন্নত নিরাপদ জীবন। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল সুরক্ষা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল সুরক্ষা’ শীর্ষক সেমিনারে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর-উর-রহমান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমান। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন টেলিযোগাযোগ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মহসিনুল খান আলম।
মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রযুক্তি দিয়েই প্রযুক্তিকে সুরক্ষা করতে হবে। সেজন্য প্রজন্মকে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’
ডিজিটাল সুরক্ষার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকাকে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে প্রশংসা করেন মোস্তফা জব্বার।
তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে বিগত দিনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা খুবই প্রশংসনীয়। তারা তাদের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে সর্বোচ্চ পরিশ্রম নিশ্চিত করার কারণেই আমরা ডিজিটাল সুরক্ষা পাচ্ছি।
তাদের কর্মতৎপরতার কারণে সাইবার ক্রাইম অনেকাংশে কমে গেছে।’
একুশে/এএ