চট্টগ্রাম : বই হলো মনের হাসপাতাল। আমরা যেমন শারীরিক সমস্যার জন্য হাসপাতালে যাই, তেমনি মনের সমস্যার সমাধান করার উপায় হলো বই পড়া। বলা যায়, বই হচ্ছে মনের আসল হাসপাতাল।
শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর জিমনেশিয়াম হলে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত বিভাগীয় বইমেলায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান এর সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, সাহাবুদ্দিন ও মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু।
শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পুলিশ সুপার আরও বলেন, আমাদের শৈশবে আমরা বই ধার করে পড়েছি। আমাদের যেসব পাঠ্যবই ছিলো সেগুলো বেশিরভাগই পুরোনো ছিলো। সেই বইগুলােতে আমরা নতুন মলাট লাগাতাম। শুধু পাঠ্যবই নয়। এর বাইরেও আমরা সৃজনশীল ও মননশীল যেসব বই ছিলো সেসবও পড়তাম। আমাদের অভিভাবক ও শিক্ষকরা আমাদের বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করতো।
শ্রেণিতে যারা প্রথম দ্বিতীয় বা তৃতীয় হতো এমনকি স্কুলের নানা প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানেও উপহার হিসেবে বই দেয়া হতো। এরপর যখন কলেজে ভর্তি হলাম তখন বই পড়ার নেশা আরও বেড়ে যায়। আমি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র ছিলাম। সেখানে পাঠ্যবইয়ের বাইরে শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিতে গিয়ে কী কী বই পড়ছে বা কতগুলো বই পড়ছে তার উপরও নাম্বার দিতো। পরবর্তীতে এসব বই থেকে লব্ধ জ্ঞানই নানা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সহায়ক ছিলো। বলেন পুলিশ সুপার।
এসময় বইপড়া বিষয়ে বর্তমান প্রজন্ম নিয়ে আশাবাদী জানিয়ে নুরেআলম মিনা বলেন, এখনো অনেকে বই কিনেন ও পড়েন। প্রতিবছরই বইমেলায় বই বিক্রির সংখ্যা বাড়ছে।
একুশে/এসআর/এটি