যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের নতুন ইমেইল তদন্ত করে বেআইনি কিছু পায়নি এই ঘোষণা দেয়ার পর দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের বিরুদ্ধে ক্ষেপেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এফবিআইয়ের বিরুদ্ধে অযোগ্যতার অভিযোগ এনেছেন। খবর বিবিসির।
এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কোমি বলেছেন, হিলারির ই-মেইল বিষয়ে নতুন তদন্তে সংস্থার আগের অবস্থান পরিবর্তন করার মতো কিছু পাওয়া যায়নি। তার ই-মেইলে অপরাধমূলক কিছু মেলেনি। হিলারির প্রচারণা শিবির বলেছে, দীর্ঘস্থায়ী একটি ইস্যুর সমাধান হওয়ায় তারা খুশি। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মূহুর্তে এই নাটকীয় ঘটনায় হিলারির প্রচারণা শিবিরের ওপরে ছায়া ফেলা মেঘ সরে গেছে।
গতকাল রবিবার এফবিআইয়ের এই ঘোষণার আগে সর্বশেষ জরিপগুলোতে ট্রাম্পের চেয়ে চার থেকে পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন হিলারি। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ওবামা প্রশাসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হিলারি। সেসময় তিনি ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে রাষ্ট্রীয় কাজে ইমেইল ব্যবহার করেছেন। এফবিআইয়ের সিদ্ধান্ত জানার পর রিপাবলিকান প্রার্থী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। মিশিগানের ডেট্রয়েটে এক নির্বাচনী প্রচারণা সমাবেশে ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, এত অল্প সময়ে ছয় লাখ ৫০ হাজার ইমেইল পরীক্ষা করা এফবিআইয়ের পক্ষে অসম্ভব।
ট্রাম্প বলেন, ‘কারচুপির একটি পদ্ধতিতেই তাকে এখন রক্ষা করা হচ্ছে। পুরো পদ্ধতিটাই কারচুপিতে পূর্ণ। আমি অনেকদিন ধরেই এ কথা বলে আসছি। হিলারি ক্লিনটন দোষী, তিনি নিজেও তা জানেন, এফবিআই তা জানে, জনগণও এটা জানে। এখন ৮ নভেম্বর ব্যালট বাক্সে ন্যায়বিচার করার বিষয়টি আমেরিকার জনগণের ওপরই নির্ভর করছে।’ এফবিআই পরিচালকের ওই চিঠির বিষয়ে হিলারি নিজে কিছু না বললেও তার প্রচারণা শিবির জানিয়েছে, তিনি (হিলারি) নির্দোষ প্রমাণিত হবেন এ বিষয়ে আত্মবিশ্বাসি ছিল তারা।