মুনমুনে মুগ্ধ চট্টগ্রাম

হিমাদ্রী রাহা : চট্টগ্রাম মাতিয়ে গেলেন কলকাতার এসময়ের জনপ্রিয় আবৃত্তিশিল্পী মুনমুন মুখার্জী।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউতে আয়োজন করা হয়েছিলো তাঁর একক আবৃত্তির আসর।

বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম মহনগর শাখার আয়োজনে ও সম্মিলিত আবৃত্তি জোটের সহযোগিতায় এই আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠান শুরু হয় বঙ্গবন্ধু বাচিক বিদ্যালয় উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। বিদ্যালয়ের ফলক উন্মোচন করেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ। ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এরপর মুমতাহিনা তাবসসুম মালিহার সঞ্চালনায় শুরু হয় আবৃত্তি অনুষ্ঠান। শুরুতেই আবৃত্তি করেন বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী আহকাম উল্লাহ। বক্তৃতা শেষে দরাজ কণ্ঠে তাঁর ‘পরিচয়’ আবৃত্তি ছিল আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য সবিশেষ প্রাপ্তি।

এরপর বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার শেখ ফাইরুজ নাওয়াল দুর্দানা ও মোহাম্মদ আবু আবিদ।

আবৃত্তি করেন আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান, দেবাশীষ রুদ্র, হাসান জাহাঙ্গীর ও মশরুর হোসাইন।

ঘড়ির কাঁটায় তখন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা। পাঁচতারকা হোটেলের মেজবান হলের শ’পাঁচেক আসন পরিপূর্ণ । এসময় মঞ্চে উঠলেন প্রতীক্ষিত আবৃত্তি শিল্পী মুনমুন মুখার্জী। কোনোপ্রকার ভূমিকা ছাড়াই শুরু করলেন ‘প্রণতি গ্রহণ করো’ শিরোনামে তাঁর আবৃত্তি। কখনো ছন্দের যাদু কখনো বিরহ আবার কখনো প্রেমের আবহে একে একে আবৃত্তি করেন ‘রবি ঠাকুর পেন্নাম হই’, মেঘ বললো, নীরুবালা, সেই মেয়েটা, ভালোবাসি ভালোবাসি, বছর চারেক পর, পরের জন্মে বয়স যখন ষোলই সঠিক’সহ জনপ্রিয় সব কবিতা।

দুই ঘণ্টা কণ্ঠের যাদুতে তিনি মুগ্ধ করে রাখেন হলভর্তি দর্শককে। বাচিক শিল্পের এই মাধ্যমটিও যে অন্যান্য শিল্পের মতোই সমধিক জনপ্রিয় তা তিনি বুঝিয়ে দিলেন এপার বাংলার আবৃত্তিপ্রেমীদের।

আবৃত্তিশেষে তিনি বলেন, ভাষা আর ভালোবাসার মাঝে দুই বাংলার যে কাঁটাতারের বেড়া তা গৌণ। বারে বারে তিনি ফিরে আসতে চান এই বাংলায়। শোনাতে চান তাঁর আবৃত্তি।

একুশে/এইচআর/এটি