সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

কোয়ান্টাম গবেষণা; ১০ হাজার বছরের কাজ হলো ২০০ সেকেন্ডে

প্রকাশিতঃ ২৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৪৯ অপরাহ্ন

তথ্য-প্রযুক্তি : একটি গাণিতিক সমস্যা সমাধানে অত্যাধুনিক সুপার-কম্পিউটারের যদি লাগে ১০ হাজার বছর, তবে গুগোলের এই কম্পিউটারটির একই কাজ সারতে লাগবে মাত্র ২০০ সেকেন্ড বা ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ড।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) গুগোল যে ঘোষণাটি দিলো, তাতে তারা এমনটাই দাবি করেছে। তবে এ তথ্যটি মাসখানেক আগেই ফাঁস হওয়ায় গুগোলের এখনকার ঘোষণাটি কেবল জানা তথ্যকেই সত্য বলে নিশ্চিত করলো।

বুধবার ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গুগোল জানায়, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং গবেষণায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করা গেলো। এ সাফল্য এলো গুগোলের ৫৪ বিটের সাইকামোর নামক একটি প্রসেসরে কোয়ান্টাম প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে।

এ প্রসেসরে কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা হয়। সমস্যাটি মাত্র ২০০ সেকেন্ড বা ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ডে সমাধান করে এই প্রসেসর। গুগোল দাবি করে একই সমস্যা সমাধান করতে ঐতিহ্যবাহী প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আইবিএম’র সুপার-কম্পিউটারের লাগবে ১০ হাজার বছর।

তবে আইবিএম’র দাবি, গুগোলের এ ঘোষণায় সুপার কম্পিউটারকে ছোট করে দেখা হচ্ছে। আইবিএম’র তরফ থেকে বলা হয়েছে, একই সমস্যার সমাধান করতে সুপার-কম্পিউটারের ১০ হাজার বছর লাগার প্রশ্নই আসেনা। ওই সমস্যা সমাধান করতে মাত্র আড়াই দিন লাগবে সুপার-কম্পিউটারের।

কোয়ান্টাম প্রযুক্তি নিয়ে গুগোলের পাশাপাশি আইবিএম ও মাইক্রোসফট দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছে।

কোয়ান্টাম কম্পিউটার যেভাবে কাজ করে-

একটি প্রচলিত কম্পিউটারের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে কাজ করে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। প্রচলিত বিট হলো ‘ওয়ান’ অথবা ‘জিরো’। কিন্তু কোয়ান্টাম বিট বা কিউবিট একইসঙ্গে ‘জিরো’ বা ‘ওয়ান’ অবস্থায় থাকতে পারে। ফলে প্রসেসরের গতি বেড়ে যায় কয়েকহাজার গুণ। কোয়ান্টাম বিটের এই তত্ত্বটি বাস্তবে প্রমাণ করলো গুগলের এই গবেষণা।

আইবিএম যদিও গুগোলের এই সাফল্যকে অতিরঞ্জিত বলছে, তবে এটা যে একটি যুগান্তকারী সাফল্য তাতে সন্দেহ করছেন না প্রযুক্তিবিদরা। গুগোলের এই গবেষণা কোয়ান্টাম কম্পিউটার যুগকে ত্বরান্বিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এমন সাফল্যকে কেউ কেউ ১৯০৩ সালে রাইট ভাতৃদ্বয়ের বিমান আবিষ্কারের সঙ্গেও তোলনা করছেন।

একুশে/এএ