চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ব্যবসায়িক কেন্দ্রবিন্দু মন্তব্য করে মালয়েশিয়ান উদ্যোক্তাদের এই অঞ্চলে বিনিয়োগে উৎসাহিতকরণে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শহীদুল ইসলাম।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে চেম্বার সভাপতি ও পরিচালকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। সভায় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের জন্য অমিত সম্ভাবনার দেশ হচ্ছে মালয়েশিয়া। অর্থনৈতিক মুক্তি গণতন্ত্র মুক্তির নির্যাস। ব্যবসায়ী এবং রাজস্ব কর্মকর্তারাই এই অর্থনৈতিক মুক্তির ক্ষেত্র তৈরী করেন। চট্টগ্রামকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ব্যবসায়িক কেন্দ্রবিন্দু। মালয়েশিয়ান উদ্যোক্তাদের এতদঞ্চলে বিনিয়োগে উৎসাহিতকরণে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।
বাংলাদেশের ইতিবাচক অর্থনৈতিক অর্জন, অগ্রগতি এবং ইমেজ মালয়েশিয়াতে তুলে ধরতে ২০১৭ সালের এপ্রিলে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ নামে দুই দিনব্যাপী ‘শোকেস’ অনুষ্ঠান আয়োজনের তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শহীদুল ইসলাম।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান বলেন, “স্বাবলম্বি হবো, রাজস্ব দিবো”-এই দার্শনিক ভিত্তি তৈরী করার জন্য চট্টগ্রাম চেম্বারের কাছে আমরা ঋণী। রাজস্ব বোর্ড এবং চিটাগাং চেম্বার ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। একটি ব্যবসা, বিনিয়োগ ও জনবান্ধব পরিবেশ তৈরীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিরলসভাবে কাজ করছে।
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীদের সেবার মান বাড়ানোর জন্য জনবল ঘাটতি পূরণে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করার কথা জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে দ্রুত স্কেনিং মেশিন সংযোজনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, মালয়েশিয়া হতে পারে বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য বিশাল বাজার। বিশাল এই শ্রম বাজার যাতে নষ্ট না হয় এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে রাষ্ট্রদূতের বলিষ্ঠ ভূমিকা প্রত্যাশা করি আমরা।
দেশে প্রস্তাবিত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিশেষ করে চট্টগ্রাম মিরসরাই ও আনোয়ারায় মালয়েশীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করণে রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত উদ্যোগ কামনা করেন মাহবুবুল আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চেম্বার পরিচালক মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, মাহফুজুল হক শাহ, এ. কে. এম. আক্তার হোসেন, কামাল মোস্তফা চৌধুরী, মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), সরওয়ার হাসান জামিল, অঞ্জন শেখর দাশ, মোঃ জাহেদুল হক, মোঃ আরিফ ইফতেখারসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য, চট্টগ্রামস্থ কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।