চট্টগ্রাম : গ্রেফতারের পর দিদারুল আলম মাসুমকে নিয়ে রাত একটা পর্যন্ত ঢাকা শহরের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়িয়েছে পুলিশ। তখনই মাসুমের মনে হলো, তাকে হয়তো মেরে ফেলা হবে। এসময় দোয়া-দরুদ পড়ছিলেন তিনি, আর ভাবছিলেন পরিবারের কথা; চোখের সামনে তখন কেবল সন্তানের মুখ- এ মুখ বুঝি আর কখনো দেখা হবে না!
আতঙ্ক ছড়িয়ে মাঝে মাঝে পুলিশের গাড়ি থেমে যাওয়া, থেমে থেমে পুলিশ কর্মকর্তার সিগারেট খাওয়া, পেছন দিক দিয়ে তার দুইহাত বেধে ফেলা, একজন এসআইকে স্যার সম্বোধন করে পানি খেতে চাইলে খেতে না দেওয়া, স্বজনের সঙ্গে ফোনালাপের সুযোগ কর্কটভাবে ফিরিয়ে দেওয়া-এমন এক পরিস্থিতিতে সেই রাতে জীবনের মায়া ভুলে গিয়েছিলেন মাসুম।
সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির অবসান হয় রাত একটায়, যখন হঠাৎ করে থানা লকআপের গেইট খোলা হলো। মাসুম একটু আশ্বস্ত হলেন-তার জন্য কেউ হয়তো কাজ করেছে, তাকে বোধহয় আর মারবে না। এরপরও লকআপের মেঝেতে বসে আশা-নিরাশার দোলাচলে মাসুম। তখনই (মধ্যরাত) সুদীপ্ত হত্যামামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সন্তোষ চাকমা লকআপের সামনে হাজির। মাসুমকে বললেন, ‘ভয় পাচ্ছেন? না, ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।’ সন্তোষ চাকমার আশ্বাসে মাসুম নিশ্চিত হলেন তাকে আর মারা হবে না।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে একুশে পত্রিকার স্টুডিওতে বসে এভাবেই গ্রেফতার হওয়ার রাতের গল্প বললেন চট্টগ্রামের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম।
গত ৪ আগস্ট রাত ৯টায় ঢাকার বনানী কেএফসি রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যামামলায় মাসুমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন চট্টগ্রামে হাজির করা হলে আদালতে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ৪২ দিন কারাভোগের পর হাইকোর্টের আদেশে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) জামিনে মুক্ত হন দিদারুল আলম মাসুম।
সোমবার রাতে একুশে পত্রিকার স্টুডিওতে হাজির হয়ে সেই ভয়ঙ্কর রাতের গল্প শুনিয়েছেন মাসুম। এসময় তার দুচোখ দিয়ে পানি ঝরছিল।
এছাড়াও মাসুম কথা বলেছেন আলোচিত সুদীপ্ত হত্যা, লালখানবাজারের গ্রুপিং-দ্বন্দ্ব, যে অস্ত্র দিয়ে তিনি হেফাজত ঠেকিয়েছিলেন সেই অস্ত্র কেড়ে নেওয়া সর্বোপরি তার ভবিষ্যৎ রাজনীতি কীভাবে পরিচালিত হবে সেই কথাও। কথাগুলোর চুম্বক অংশের ভিডিও দেখতে চোখ রাখুন আজ রাত ১২ টার পর একুশে পত্রিকার ফেসবুক পেইজে।
ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন :
গ্রেফতারের সেই `ভয়ঙ্কর রাত’ এর বর্ণনা দিলেন দিদারুল আলম মাসুম..বিস্তারিত- https://www.youtube.com/watch?v=ko6Uz3DYs3s&feature=youtu.be
Posted by একুশে পত্রিকা – Ekushey Patrika on Monday, 16 September 2019