চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির গ্রেপ্তার ও সাজাকে ষড়যন্ত্রমূলক বলে মন্তব্য করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। মঙ্গলবার বিকেলে রনির মুক্তির দাবিতে নিজের বাসায় ১৪ দল চট্টগ্রামের এক জরুরি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রনিকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেপ্তার ও তাৎক্ষণিক সাজা দিয়ে কর্তব্যরত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহল বিশেষকে খুশি করেছেন। এতে ওই বিচারক কলঙ্কের ভাগী হয়েছেন এবং বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দল ও সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। এ অপচেষ্টাকে অবশ্যই প্রতিহত করা হবে।
১৪ দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক মহিউদ্দিন বলেন, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভোট কেন্দ্রের বাইরে থেকে। এতে প্রতীয়মান হয় তাকে ফাঁসানোর জন্যই প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা মহল বিশেষ একটি ছক তৈরি করে রেখেছিল। কর্তব্যরত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেই অনুযায়ী রনিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়ে তার পেশাগত মর্যাদা কলঙ্কিত করেছেন। তিনি (ম্যাজিস্ট্রেট) যখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তখন তার রাজনৈতিক পরিচয় ও ভূমিকা সম্পর্কে আমরা অবগত। তিনি শিবিরের মেসে থাকতেন এবং ক্যাম্পাসে শিবিরের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন।
রনিকে আবারও রাজপথে ফেরানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রনির ষড়যন্ত্রমূলক গ্রেপ্তার ও তড়িঘড়ি সাজা প্রদানের বিষয়টি ১৪ দলের পাঁচ সদস্যের একটি দল তদন্ত করবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাসদ সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, ওর্য়ার্কাস পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন খালেদ সেলিম, সাম্যবাদী দলের অমূল্য বড়ুয়া, ন্যাপ এর আলী আহমদ নাজির, জাতীয় পার্টির (জেপি) নগর সভাপতি আজাদ দোভাষ, গণআজাদী লীগের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম আশরাফী এবং নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অমল মিত্র।
প্রসঙ্গত গত শনিবার হাটাহাজারী উপজেলার মির্জাপুরে একটি ভোটকেন্দ্র থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ নুরুল আজিম রনিকে আটক করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশিদ। এরপর রনিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন ওই বিচারক। পাশাপাশি হাটহাজারী থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করে পুলিশ।