খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘মানুষের উপকার করার মধ্যদিয়ে এই সরকার আগামী নির্বাচনের নিচ্ছে। মানুষ এই সরকারের কাজের পুরস্কারস্বরূপ তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে সরকার গঠন করাবে।’
বুধবার রাজশাহীতে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ১০টায় নগরীর একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ‘খাদ্য নিরাপত্তা আইন ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এই কর্মশালার আয়োজন করে।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাজশাহী-৫ আসনের সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি সকল মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। সেই অধিকার রক্ষার জন্যই এই আইন। অতীতে অনেক সরকার ক্ষমতায় গেলেও মানুষের নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কেউ ভাবেনি। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই ভেবেছেন। এই সরকার মানুষের সরকার। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়তে চান। পৃথিবীর অনেক দেশ আজকে মেনে নিয়েছে, উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। ১৯৯৬ সালে এ দেশে ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন বছরে দুই লাখ মেট্রিকটন খাদ্য রফতানি করা হচ্ছে। জনগণের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করছে ১৮টি মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকারের ৪৮০টি সংস্থা।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কর্মশালায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ক্যাব প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতারা অংশগ্রহণ করেন। তাদের নিরাপদ খাদ্য আইনের বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করা হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। নগরের গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলের সামনে থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে সিঅ্যান্ডবি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।