গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য সরকার প্রধান একজন এবং দলীয় প্রধান অন্যজনকে বানাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লউঞ্জে ‘খ্যাতিমান সাংবাদকি গিয়াস কামাল চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে’ স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্মরণসভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ডেমেক্রেটিক কাউন্সিল নামের একটি সংগঠন।
এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, উন্নত দেশে যে গণতন্ত্র আছে সেখানে সরকার প্রধান একজন হয় আর দলীয় প্রধান অন্যজন হয়। বিশ্বের বড় বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই এই ব্যবস্থা বিদ্যমান। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য এই ব্যবস্থা প্রয়োজন। দুই পদে একজন হলে কোনো পার্থক্য থাকে না, দলীয় নেতাকর্মীরাই সরকারের কর্মকর্তা হয়ে যায়।
জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য এই ব্যবস্থা প্রবর্তন প্রয়োজন উল্লেখ করে এমাজউদ্দিন বলেন, দুইটি শীর্ষ পদে একই ব্যক্তি হলে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। ভবিষ্যতের জন্য সরকার প্রধান একজন ও দলের প্রধান থাকবে অন্যজন। তবেই গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সকলের একই রকম সুযোগ দেয়া প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে ঢাকা মহানগরীর প্রবেশ পথসহ প্রত্যেকটা জায়গায় অভ্যর্থনা করা হয়েছিল। সব মিলেয়ে এই সম্মেলন ছিল ব্যয়বহুল একটি উৎসব। তাদের এ সম্মেলন অনেকদিন স্মৃতি হয়ে থাকবে। আর যারা এই রকম সম্মেলন করতে চায় তাদেরকেও যেন সুযোগ দেয়া হয়।
নির্বাচনের কথা উল্লেখ বিএনপিপন্থি এই বুদ্ধিজীবী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নির্বাচনে যেন কোন ক্ষতি না হয়। আমরা এবারও যেন ক্ষমতায় যেতে পারি। আবার অন্য জায়গায় বলেছেন নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। দুই জায়গায় অমিল আছে। তবে তার দ্বিতীয় কথায় অভিনন্দন জানাই।
সুষ্ঠু একটি নির্বাচন দিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে দেশের সুনাম ফিরিয়ে আনতে হবে উল্লেখ করে এমাজউদ্দিন বলেন, আগামী নির্বাচনে যেন কোন রকম কারচুপি না হয় সে দিকটা লক্ষ্য রাখতে হবে। নির্বাচন যেন গ্রহণযোগ্যতা পায় সকলের কাছে। তবেই আন্তর্জাতিক মহলে আমাদের সুনাম ফিরিয়ে আনতে পারব।
বাংলাদেশ ডেমেক্রেটিক কাউন্সিলের সভাপতি এম এ হালিমের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জাতীয়তাবাদী বন্ধু দলের সভাপতি শরীফ মোস্তফা জামান লিটু ও কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।