আশরাফের প্রস্তাবে ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক

Obaidul Quaderঢাকা: আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় প্রধান পদ সাধারণ সম্পাদক পদে সভাপতি শেখ হাসিনার মতোই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের। দলের ২০ তম জাতীয় সম্মেলনে গত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামই তার নাম প্রস্তাব করেন। এরপর তা সমর্থন করেন জাহাঙ্গীর কবীর নানক। আর কোনো নাম প্রস্তাব না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটি হয়নি সাধারণ সম্পাদক পদেও।

জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আগামী তিন বছরের জন্য এই নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়। এই কমিটিই আগামী সংসদ নির্বাচনে দলের দায়িত্বে থাকবে।

গত দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে পালনকারী সৈয়দ আশরাফ এবারও দলের সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচিত ছিলেন। তবে জাতীয় সম্মেলন শুরুর ‍দুই দিন আগে হঠাৎ করেই ওবায়দুল কাদেরের নাম শোনা যায়। যদিও মাস খানেক আগে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, এই পদে তিনি প্রার্থী নন।

ঢাকাটাইমসের অনুসন্ধান বলছে, জাতীয় সম্মেলনের প্রথম দিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতে গণভবনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে সাধারণ সম্পাদক পদে একক প্রার্থী হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করার সিদ্ধান্ত হয়।

জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সকালে সাংগঠনিক জেলার নেতারা সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এরপর অনুমোদন হয় সম্মেলনের ঘোষণাপত্র এবং গঠনতন্ত্র সংশোধনী।

এরপরই হয় জাতীয় সম্মেলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা। দলের আগের কমিটি ভেঙে দেয়ার পর প্রথমে নির্বাচন হয় সভাপতি। সভাপতি পদে নতুন কাউকে নির্বাচনের তাগিদ দেন ১৯৮১ সাল থেকে দলের শীর্ষ পদে থাকা শেখ হাসিনা। তবে তার সে তাগিদ মেনে না নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অষ্টমবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা।

এরপর হয় সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন। বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ দাড়িয়ে বলেন, ‘আমি সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম…’। এই পর্যায়ে কাউন্সিল স্থলের বাইরে নেতা-কর্মীরা ভাবেন তিনি নিজের নাম প্রস্তাব করছেন এবং তারা হর্ষোধ্বনী দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন।

পরে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করছি’। এরপর নেতা-কর্মীরা কিছুক্ষণ নীরব থেকে পরে আবার হাততালি দেয়।

আশরাফের এই প্রস্তাবে সমর্থন জানান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক। এই পদে আর কোনো নাম ঘোষণা না হওয়ায় পরে আর ভোটাভুটি হয়নি।

আর সম্মেলনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন।

এরপর শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেখ হয় জাতীয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা।