চবি আবৃত্তি মঞ্চ সন্মাননা পেলেন সেলিনা হোসেন

চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) আবৃত্তি মঞ্চ সন্মাননা পেয়েছেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

বুধবার (২৪ জুলাই) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ আয়োজিত নবম আবৃত্তি উৎসবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই সন্মাননা দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গন থেকে এক শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয় উৎসব। পরে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ ও সন্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিলো কবিতার মতো। সেই ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এদেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।

তিনি বলেন, আমাদের কবিতাকে বুকে ধারণ করতে হবে। কবিতা সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। যে কবিতাকে বুকে ধারণ করবে সে কখনও হিংস্র হবে না; অস্ত্র হাতে সে ঘুরে বেড়াবে না। সে হবে শান্ত ও সৌন্দর্যের প্রতীক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে চবি উপাচার্য (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড.শিরীণ আখতার বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি আমাদের সাংস্কৃতির চর্চা করতে হবে। তা না হলে আমাদের পড়ালেখা পূর্ণতা পাবে না।৭১’র এর স্বাধীনতা যুদ্ধে সাংস্কৃতিক কর্মীদের স্মরণ করে তিনি বলেন,মুক্তিযুদ্ধের সময় সংস্কৃতিক কর্মীরা তাদের কন্ঠে গান গেয়ে উজ্জিবিত করেছিল এদেশের সকলকে। তাদের কন্ঠের সেই নতুনের গান, বিজয়ের গান সকলকে প্রেরণা যুগিয়েছিল।

চবি আবৃত্তি মঞ্চের প্রধান উপদেষ্টা ও দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাছুম আহমেদের সভাপতিত্বে উক্ত আবৃত্তি উৎসবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.সেকান্দর চৌধুরী, রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড.আনোয়ারা বেগম, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ও সংগঠনটির সভাপতি মাসুম বিল্লাহ।

পরে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ উপন্যাসের রচয়িতা, বাংলা একাডেমী, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরুষ্কার প্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনকে সন্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

একুশে/আইএস/এসসি