ঢাকা : গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সম্পূরক আবেদনের শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার ৯ জুলাই দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট।
পেট্রোবাংলার পক্ষে সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়।
১ জুলাই থেকে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। এক চুলার দাম ৭৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯২৫ টাকা। আর দুই চুলা ৮০০ থেকে হয়েছে ৯৭৫ টাকা। এ ছাড়া গৃহস্থালি কাজে মিটারভিত্তিক গ্রাহকদের জন্য দাম বেড়েছে ঘনমিটার প্রতি ১২ টাকা ৬০ পয়সা। গড়ে প্রতি ঘনমিটারে বেড়েছে ৯ টাকা ৮০ পয়সা। গ্যাসের এ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে গত ১ জুলাই সম্পূরক আবেদন করে ক্যাব। ক্যাবের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, আদালতের অবকাশের আগে একটা আবেদন ছিল। মূল রিট মামলায় আমরা কতগুলা প্রতিবেদন দেখিয়েছিলাম। তার মধ্যে একটা প্রতিবেদন আছে যেখানে বলা হয়েছে, দুদক তদন্ত করে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। সেখানে দুদক বলেছিল ওই দুর্নীতি রোধ করা গেলে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হত না। এমন পর্যবেক্ষণ দুদক ও ক্যাবের পক্ষ থেকেও দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রিটের প্রেক্ষিতে জারি করা রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আবারও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা একটি সম্পূরক আবেদন করেছি।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, প্রথমবার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আদেশের বিরুদ্ধে রিট করলে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আবারও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করে গত ১১ই মার্চ থেকে ১৪ই মার্চ পর্যন্ত গণশুনানি গ্রহণ বে-আইনি। তিনি বলেন, ২০১০ সালের আইনে গ্যাসের বিতরণ ও সঞ্চালন সংক্রান্ত প্রবিধান মালায় গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কতগুলো সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণের কথা বলা আছে। এসব প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে পেট্রোবাংলা ও বিইআরসি বলে দাবী করেন এ আইনজীবী।
দাম বৃদ্ধির প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি গ্যাসের হাইকোর্টে আবেদন করে ক্যাব। ক্যাবের আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গত বছরের ১৬ই অক্টোবর গ্যাসের সঞ্চালন ও বিতরণ ফি বৃদ্ধির আদেশ দিয়েছিল। এ আদেশের বিরুদ্ধ রিট করলে হাইকোর্ট রুল জারি করে।