চট্টগ্রাম: ডিগ্রি পাসের ভূয়া সনদের তথ্য দিয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটির শীর্ষ পদে আসতে তৎপরতা চালাচ্ছেন মনিরুল আলম জনী নামের এক যুবক। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জমা দেওয়া জনীর বায়োডাটাসহ আবেদনের একটি কপি একুশে পত্রিকার হাতে এসেছে।
অনুসন্ধানে নেমে সনদের ফটোকপি ও বায়োডাটা যাচাই করে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিকে দেওয়া আবেদনে জনী উল্লেখ করেছেন- চট্টগ্রামের হাটহাজারীর উত্তর মেখল জামাল সারং বাড়ির বাসিন্দা মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে তিনি। ২০১১ সালে গঠিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে সদস্য হিসেবে স্থান পান জনী। এছাড়া ২০১৩ সালে গঠিত হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে যুগ্ন আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।
জনীর বায়োডাটায় উল্লেখ করা হয়েছে- ২০০৩ সালে ফজলুল কাদের চৌধুরী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০০৫ সালে হাটহাজারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছেন তিনি। এরপর ২০১১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা হাটহাজারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিবিএস (ডিগ্রি) পাশ করেন জনী। এরপর ২০১৪ সালে বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ-তে ভর্তি হয়ে ২০১৬ সালে শেষ করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১১ সালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের কমিটির সদস্য তালিকায় মনিরুল আলম জনীর নাম নেই। এছাড়া ডিগ্রি পাসের যে সনদের ফটোকপি তিনি দিয়েছেন, তাতে উল্লেখ রয়েছে- রোল নং- ১৭৬৫২১৪, রেজিস্ট্রেশন নং- ৭৭১০৬৮৯। সেশন ২০০৭-০৮। ফলাফলের ঘরে লেখা আছে- প্রথম শ্রেণী। প্রাপ্ত নম্বর ৮০৬।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে ওই নম্বরের ফলাফল দেখতে গিয়ে ভিন্ন একজনের নাম পাওয়া গেছে। ওয়েবসাইটের রেজাল্ট অপশনে গিয়ে ওই নম্বর দিয়ে সার্চ দিলে ‘মুরাদুল ইসলাম’ নামের একজনের নাম পাওয়া যাচ্ছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করার কথা রয়েছে। ওই কমিটিতে সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক- যে কোন একটি পদপ্রাপ্তির জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন মনিরুল আলম জনী।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে মনিরুল আলম জনী বলেন, আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে একটি পক্ষ। সারাজীবন দলের জন্য কাজ করার পরও এখন কমিটিতে আমার স্থান না হওয়ার জন্য তারা এসব করছে। ফেসবুকেও অনেকেই এসব লিখছে। কুৎসা রটানোর এ ঘটনায় আমি বৃহস্পতিবার হাটহাজারী থানায় একটি জিডি করেছি।