রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১

পাহাড়ে থাকবে ৪ ব্রিগেড সেনা: প্রধানমন্ত্রী

| প্রকাশিতঃ ৮ মে ২০১৬ | ১০:২৪ পূর্বাহ্ন

PM Hasina Briefingsপার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর চারটি ব্রিগেড রেখে সব ক্যাম্পসরিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার ঢাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের ভিত্তিফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে এখনও যেসব কাজ বাকি রয়েছে, সেগুলো শেষ করা হবে। সেনা ক্যাম্পগুলোর অধিকাংশই আমরা তুলে নিয়েছি। চারটা জায়গায় চারটা ব্রিগেড থাকবে। বাকিগুলো আমরা তুলে নিয়ে আসব। সে লক্ষ্য নিয়েই রামুতে একটি সেনানিবাস করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভূমি সংস্কার কমিশন বারবার গঠন করা হচ্ছে। কিন্তু এই কমিশনের কাজটা ঠিক মতো হচ্ছে না। সেখানে একটু দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে।দুপক্ষকেই বসে ঠিক করতে হবে। ২০০১ সালে আমরা যে আইনটা করেছিলাম, সেখানে তারা কিছু সংশোধন চেয়েছেন। সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে যতটুকু করা সম্ভব, সেটা আমরা করে দেব।প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি পার্বত্য চট্টগ্রামে কেন অশান্তি থাকবে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সেখানে এক হাজার ৩৬৯ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে। ৮৭৩ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ ও বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য ৮৭৯ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল, উদ্বেগজনক, হতাশাব্যাঞ্জক। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ নেতৃত্বে চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার যথাযথ সমাধান হতে পারে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছলে তার হাতে ফুল তুলে দিয়ে উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে স্বাগত জানান অনুষ্ঠানের সভাপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। এরপর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের ফলক উন্মোচন করেন শেখ হাসিনা।

মোশাররফ হোসেন ও বীর বাহাদুর উশৈসিং ছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।