জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট : শিগগিরই খালেদার জামিনের শুনানি

ঢাকা : শিগগিরই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। গত বৃহস্পতিবার মামলাটির রেকর্ড (মূল নথি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা পড়ে। জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে আসা প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চার আসামির সবাইকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে গত বছর ২৯ অক্টোবর রায় দেয় ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান।

একই সাথে তাদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে আদালত।

উক্ত মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড বাতিল ও খালাস চেয়ে গত ৩০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিল হাই কোর্ট। সেদিন আদালত বিচারিক আদালতের রায়ে দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করে এবং সম্পত্তি জব্দের আদেশে স্থিতাবস্থা দেওয়ার পাশাপাশি খালেদার জামিন আবেদনটি নথিভুক্ত করে মামলার নথি তলব করে। রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার চার দিন পর গত বছর ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদার আইনজীবীরা।

রোববার (২৩ জুন) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের বেঞ্চে নথিভুক্ত থাকা জামিন আবেদনটি খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন উপস্থাপন করলে আদালত এ আদেশ দেয়।
তার সঙ্গে আইনজীবী কায়সার কামাল ও এ কে এম এহসানুর রহমানও ছিলেন।

খালেদা জিয়ার আইজীবী জয়নুল সাংবাদিকদের বলেন, গত সপ্তাহে আমরা এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নিয়ে গিয়েছিলাম। আদালত বলেছিল, মামলার রেকর্ড এলেই শুনানি করবেন। এর মধ্যে রেকর্ড এসে গেছে। সে জন্য আজ আমরা আবার জামিন আবেদন নিয়ে গিয়েছি।

তিনি বলেন, আদালত বলেছেন, খুব সহসাই তারিখ দেবেন। লিগ্যাল জুরিসপ্রুডেন্স অনুযায়ী, এসব মামলায় আদালত সাধারণত জামিন দিয়ে থাকে। আমরাও আশা করছি, খালেদা জিয়া এই মামলায় জামিন পাবেন।

এ মামলায় দণ্ডিত চার আসামির মধ্যে খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।

একুশে/এসসি