সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী কারাগারে

ঢাকা : সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে দুদকের দায়ের করা একটি মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালত বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় অবৈধভাবে সরকারি জমি বিক্রি করে প্রায় ৪১ লাখ টাকা ক্ষতি করা সংক্রান্ত মামলায় এ আদেশ দেন।

দুদকের মামলায় লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল বলে জানিয়ে
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়ার আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই মামলায় আজ আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অপর আসামি হলেন জমির ক্রেতা জাহানারা রশিদ। তিনি জামিনে আছেন। মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম।

দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারি এই জমি ইজারা নেওয়ার জন্য ২০১০ সালের ১১ মে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন জাহানারা রশিদ। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সে সময় ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের আওতায় সরকারি জমি ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ইজারার টাকা পরিশোধ করেননি। মন্ত্রীর আত্মীয় হওয়ার কারণে জাহানারা জমি দখলে নিয়েছিলেন।

২০১১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি ওই জমি ক্রয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি সম্পত্তি বিক্রয়ের নীতিমালা ভঙ্গ করে উন্মুক্ত দরপত্র ছাড়াই বিক্রি করেন।

আদমদীঘি ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আদমদীঘির দরিয়াপুর মৌজার ২ দশমিক ৩৮ একর জমির ওপর কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়। এটি নওগাঁর রানীনগর উপজেলা সদরের পাশে অবস্থিত। কয়েক বছর ধরে ওই কেন্দ্রে পাট কেনা বন্ধ আছে। ওই জমির ওপর ছয় হাজার ৯৫৪ বর্গফুটের তিনটি টিনের গুদামঘর আছে। ১ হাজার ২০০ বর্গফুটের বারান্দা, ১ হাজার ৫৫০ বর্গফুটের ইটের তৈরি একটি দালান, হস্তচালিত একটি জুটপ্রেসার, চেয়ার, লোহার সিন্দুকসহ নানা ধরনের আসবাব ও শতাধিক মূল্যবান গাছ রয়েছে।

একুশে/ডেস্ক/এসসি