গ্রাহকদের ওপর নজরদারি চালিয়েছে ইয়াহু

ইয়াহু yahooমার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষে লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ই-মেইল অ্যাকাউন্টে গোপনে নজরদারি চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইয়াহুর বিরুদ্ধে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ই-মেইল নজরদারি নিয়ে ইয়াহুকে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) অথবা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) অনুরোধ করেছিল। এ ক্ষেত্রে তিনটি সূত্র থেকে তথ্য পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছে রয়টার্স। এর মধ্যে দুজনই ইয়াহুর সাবেক কর্মী।

প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, নজরদারি চালানোর জন্য গত বছর একটি বিশেষ সফটওয়্যারও তৈরি করেছিল ইয়াহু। ওই বিশেষ সফটওয়্যার দিয়ে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে আসা সব ই-মেইলে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের ব্যাপারে অনুসন্ধান চালানো হয়। তবে ঠিক কোন কোন তথ্য ইয়াহু গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে, সে সম্পর্কে প্রতিবেদনটিতে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।

এদিকে রয়টার্সের প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রযুক্তিবিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ইয়াহু আইন মেনে চলা প্রতিষ্ঠান এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত সব আইন মেনে চলে।

উল্লেখ্য, মার্কিন আইন অনুযায়ী সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ বা এ ধরনের কারণ থাকলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহকদের তথ্য চাইতে পারে। এদিকে এনএসএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইমেইল নজরদারি নিয়ে তারা কোনো প্রশ্নের উত্তর দিবে না।

মার্কিন ফোন ও ইন্টারনেট কোম্পানিগুলো আগে থেকেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে গ্রাহকদের তথ্য সরবরাহ করে আসছে। তবে বেশ কয়েকজন নজরদারি বিশেষজ্ঞের মতে, এত বড় সংখ্যার ওয়েব তথ্যের চাহিদা বা এজন্য নতুন সফটওয়্যার তৈরি করার মতো ঘটনা এর আগে জানা যায়নি।

-বিবিসি ও রয়টার্স