চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অস্ত্রসহ আটক নূরুল আজিম রণির মুক্তির দাবিতে নগরীর অক্সিজেন মোড়ে সড়ক অবরোধ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।
শনিবার রাত সাড়ে নয়টার পর থেকে হাটহাজারীর বায়েজিদের অক্সিজেন, বালুচড়া, মুরাদপুর, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ এলাকায় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রণির অনুসারী চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল করিম বলেন, রণি ভাইকে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, সড়ক অবরোধ করা হলেও অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি। তাদেরকে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছি।
প্রসঙ্গত শনিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর থেকে নির্বাচনে দায়িত্বরত একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে নূরুল আজিম রণিসহ নয়জনকে আটক করে বিজিবি।
এদিকে আটক হওয়ার পর অস্থায়ীভাবে সংগঠনের সব পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণি।
শনিবার রাতে হাটহাজারী থানায় দেখতে যাওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মারফত হাতে লেখা একটি বিবৃতি তিনি গণমাধ্যমের কাছে পাঠিয়েছে। বিবৃতিতে তিনি এই আবেদন জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক সারাদেশের তৃণমূল নেতাকর্মীরা যখন নৌকা প্রতীকের বিজয়ে প্রাণান্তর চেষ্টা চালাচ্ছেন ঠিক তখন আমি আজ অদৃশ্য প্রশাসনিক ষড়যন্ত্রের শিকার হলাম। আমি গর্ব করে বলতে পারি আমি ছাত্রলীগের যোদ্ধা। জীবনে কোনো অনৈতিক অন্যায় কিংবা অপরাধ করিনি।আমার অপরাধ আমি নেত্রীর নির্বাচনী প্রতীক নৌকাকে নির্বাচিত করতে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুঁটে চলেছি।
তিনি আরো বলেন, এমতাবস্থায় সংগঠনের নেতাকর্মীরা শান্ত থেকে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং নগর ছাত্রলীগ সভাপতির দিকনির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করছি। সংগঠনের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পর্ষদের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সম্মান রেখে আমার অনুপস্থিতে সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে সংগঠনকে গতিশীল করার প্রার্থনা করছি। জামাত শিবির মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার যে শপথ নিয়েছিলাম তা থেকে এরকম ষড়যন্ত্রসহ আরও অনেক ষড়যন্ত্র হলেও আমাকে কখনও লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে পারবেনা। শেখ হাসিনার প্রতি ভালোবাসা থেকে তোমরাও এরকম যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। মনে রাখবা আমার প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে তার প্রতিবাদের ভাষা যেনো জনদূর্ভোগের কারণ না হয়।