আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারো আওয়ামী লীগের সভাপতি হবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কঠিন সময়ে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে তিনবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছেন।’
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির অভ্যর্থনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক নাসিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের এবং মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।’
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম রবিবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক যৌথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে নতুন কমিটি হবে উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আর নতুন নেতাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে ২০১৯ সালের নির্বাচনে জনগণের ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনা।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের হাতে আর মাত্র আড়াই বছর সময় হাতে রয়েছে এমনটি জানিয়ে এ নেতা বলেন, ‘এ সময়ের মধ্যে যাতে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ না হয় সেজন্য আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতা-কর্মীদের অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে।’
অভ্যর্থনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক নাসিম বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে অনেক বিদেশী অতিথিরা আসবেন। পাকিস্তান এবং জামায়াতে ইসলামী ছাড়া সকল গণতান্ত্রিক দেশ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সম্মেলনে কোন বিশৃঙ্খলা করতে দেয়া হবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ নেতা আরো বলেন, ‘সম্মেলনে আমরা সবাই কর্মী হিসেবে থাকবো, আর একমাত্র নেতা হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। -বাসস।