রামপাল বিদ্যুৎপ্রকল্প নিয়ে জাতীয় তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির শঙ্কাকে বিজ্ঞান নির্ভর নয় বরং জ্যোতিষশাস্ত্র নির্ভর উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা এতোদিন বলে আসছিলাম যে তেল-গ্যাস কিংবা সুন্দরবন রক্ষা করা এ কমিটির মূল উদ্দেশ্য নয় তাদের অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে।আমাদের এ অনুমান সঠিক ছিল। কারণ ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে তাদের নতুন কর্মসূচিই প্রমাণ করেছে আসলে তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের সাথে ভারতের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ককে নষ্ট করা।
শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রকল্প নিয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে সকল প্রকার শঙ্কা দূর করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও এ প্রকল্প নিয়ে সব ধরনের আশঙ্কা দূর করার জন্য কাজ করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে। এরপরেও যদি কেউ এ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে, ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি দেয় তখন আর কারো বুঝতে বাকি থাকে না এ আন্দোলনে কমিটির মূল উদ্দেশ্য কি?
সিলেটে কলেজ ছাত্রীর ওপরে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন কোন অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না সে যে দলেরই হোক না কেন। কিন্তু বিএনপি নেতারা বলছে, দেশে নাকি গণতন্ত্র নাই বিধায় এমন হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই চেয়েছিল ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করে এ দেশের গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে নস্যাৎ করতে। পেট্রোল বোমা হামলা করে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে তারা যে নৃশংসতা চালিয়েছিল তারই বিরূপ প্রভাব পড়েছে সমাজে।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক তার বক্তব্যে আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে জঙ্গিবাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন তখন জঙ্গি তামিমের একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে আইএসের একটি সাময়িকীতে। জঙ্গিবাদ নির্মূলে পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ অনেকাংশে সফল। আর এ কারণেই জঙ্গিদের চাঙা করার জন্যই এ নিবন্ধটি প্রকাশ করা হয়েছে। তাই আমি স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তিকে আহ্বান জানাবো নিজ নিজ অবস্থান থেকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য।
চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, শিক্ষক নেতা শাহজাহান সাজু, অরুণ সরকার রানা, এমএ করিম প্রমুখ।