ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা একটি মামলায় আইনজীবী ও লেখক ইমতিয়াজ মাহমুদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে ইমতিয়াজের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান (রচি)। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসলি নজরুল ইসলাম (শামীম) জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস্ সামস জগলুল হোসেন ৫০০ টাকা মুচলেকায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
১৫ মে বুধবার বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার ইমতিয়াজ মাহমুদের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ১৬ মে সকালে রাজধানীর বনানী থেকে তাকে গ্রেফতার করে বনানী থানা পুলিশ। এরপর তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক পোস্ট করেন ইমতিয়াজ মাহমুদ। ওই ঘটনায় শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তার নামে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭/২ ধারায় খাগড়াছড়ির সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদ সম্প্রতি তার ফেসবুক আইডিতে পাহাড় ইস্যুতে নানান মন্তব্য করেছেন। এর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারীদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানো হয়েছে। বাঙালি জাতিকে হেয় করে সেটলার আখ্যায়িত করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ১ জলাই হতে ১০ জুলাই পর্যন্ত আসামির পোস্টগুলো উসকানিমূলক, যা পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য লেখা হয়।
প্রসঙ্গত, ৫৭-ধারাকে কালো আইন আখ্যা দিয়ে এই আইন বাতিল এবং কবি হেনরী স্বপন ও লেখক ইমতিয়াজ মাহমুদকে দ্রুত মুক্তির দাবিতে বুধবার বিকেলে শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে লেখক ও মুক্তমনা সংগঠনগুলো।