ঢাকা: বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির না করায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৯ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে ২ নম্বর ভবনে অবস্থিত অস্থায়ী ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এএইচএম রুহুল ইমরান এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। তিনি খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা বলে চার্জ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, ‘আজ এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য আছে। কিন্তু খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। সে কারণে অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করছি।
বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেন। এদিন রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলার আসামি সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আমিনুল হকের পক্ষে মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত স্থগিতাদেশ বাতিল করে আগামী ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তির মধ্য দিয়ে সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এ অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. শামসুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত) ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ (যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত) ১৬ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৫ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম আদালতে চার্জশিট দেন। ১৬ আসামির মধ্যে ৬ জন মারা গেছেন।