মাদ্রাসা ছাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা, মামলার এজাহার পরিবর্তন

ফেনী : ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহার পরিবর্তন করা হয়েছে। মামলার বাদি ওই ছাত্রীর বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান এই পরিবর্তন করেন। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন।

নতুন এজাহারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজউদ্দৌলাকে প্রধান আসামি রেখে আরও সাত জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আসামি রাখা হয়েছে বোরকা পরিহিত অজ্ঞাতনামা চার জন ও তাদের সহযোগীদের।

অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম, মাদ্রাসার প্রভাষক আবছার উদ্দিন, সাবেক ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামীম, নুরুদ্দীন, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহমেদ ও আব্দুল কাদের। এ ছাড়া আসামি করা হয়েছে আজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জনকে।

মামলার বাদী ওই শিক্ষার্থীর ভাই এজাহারে উল্লেখ করেন, অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার নির্দেশে উল্লেখিত আসামিরা পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে তার বোনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজদ্দৌলা একই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত ২৭ মার্চ থেকে কারাগারে রয়েছেন। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত সাত জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে লাইফ সাপোর্টে থাকা ওই মাদ্রসা ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

গত শনিবার (৬ এপ্রিল) ওই শিক্ষার্থী সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে বোরখা পরিহিত কয়েকজন তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

একুশে/আরসি/এটি