ঢাকা : তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের জন্য ‘মেধাশ্রম আইন’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশে ‘মেধাশ্রম’ ব্যবস্থাপনায় কোনো বিধিবিধান না থাকাতে এ খাতটি বিভিন্ন সময় প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে। আর এই প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে সরকারের এমন উদ্যোগের কথা জানিয়েছন অতিরিক্ত সচিব (শ্রম) রেজাউল হক।
জানা গেছে, কায়িক শ্রমের ক্ষেত্রে শ্রমঘণ্টা, মজুরি, ছুটিসহ অন্যান্য যে বিষয়গুলো রয়েছে, সেগুলো মেধাশ্রমের প্রেক্ষাপটে কী হবে, তা নতুন আইনে তুলে ধরা হবে। ইতােমধ্যে বাংলাদেশ মেধাশ্রম আইন প্রণয়নে খসড়া তৈরির জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শ্রম) রেজাউল হককে আহ্বায়ক করে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রস্তাবিত আইনের একটি খসড়া শ্রম সচিবের কাছে দাখিল করতে হবে। এছাড়া আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটির প্রথম সভা আহ্বান করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে যারা কায়িক শ্রম দিয়ে নয় মেধা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, তাদের অধিকার রক্ষা করতে হবে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব (শ্রম) রেজাউল হক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তাদের তো আমাদের একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। সেজন্যই মেধাশ্রম আইন করা হবে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করলে বা কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মকালীন বিশেষ প্রযুক্তি জ্ঞান অন্য কোথায়, কীভাবে প্রয়োগ করবেন তার ব্যাখ্যা থাকবে আইনে। মালিকের জন্য যেমন কিছু বিধিনিষেধ ও আচরণীয় বিষয় থাকবে, তেমনি কর্মীদের ক্ষেত্রেও থাকবে। কায়িক শ্রমের ক্ষেত্রেও নানা ধরনের বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা হবে।
মেধাশ্রম আইন হলে কর্মীরা অনেক ধরনের অধিকার পাবে জানিয়ে আলমাস কবীর বলেন, আইন করার উদ্যোগটা অত্যন্ত ভালো। এটা দ্রুত করে ফেলা দরকার। কাজের সময়, কতটুকু সময় হলে পার্ট টাইম, কতটুকু হলে ফুল টাইম বলা হবে, ছুটি- এসব বিষয় সুস্পষ্টভাবে আইনে থাকতে হবে।
রেজাউল হক বলেন, এখন ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রচুর অনলাইন পত্রিকা হচ্ছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরি হচ্ছে, মেধা দিয়ে প্রকল্পের ডিপিপিও তৈরি হচ্ছে। মেধাশ্রম আইন করার ক্ষেত্রে তাদের বিবেচনায় নেয়া হতে পারে।আইনে সুনির্দিষ্টভাবে কোন কোন বিষয়গুলো আসবে, দু-একটি সভা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করলে তা আরও স্পষ্ট হবে বলেও জানান তিনি।
একুশে/ডেস্ক/এসসি