হিলারি ক্লিনটন অভিযোগ করে বলেন, ট্রাম্প তার বেশ কিছু ব্যবসার ক্ষেত্রে নিজ কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করেনি। হিলারি এ সময় বলেন, আমি খুব ভাগ্যবান, কারণ আমার বাবা ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবসা করেনি।
এর উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ব্যবসা কিভাবে করতে হয় তা আমি জানি। আর যে অভিযোগ করা হচ্ছে। তা সঠিক নয়। এ সময় উল্টো প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি বড় ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে দেখেছেন।
এর আগে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বিষয়ক বিতর্কে হিলারি বলেন, নতুন চাকরীর সুযোগ সৃষ্টি করব আমরা, নতুন কাজ শুরু করব। বড় কোম্পানিগুলো তাদের লভ্যাংশ ভাগ করে নেব। শুধু উচ্চ পর্যায়ের এক্সিকিউটিভদের সঙ্গে নয়। বরং সবার সঙ্গে।
আমাদের চাকরীর সুযোগ বিদেশিরা চুরি করছে। সেই সঙ্গে বিদেশিদের কাছ থেকে আমাদের কোম্পানিগুলোকে রক্ষা করতে হবে। বিদেশি কোম্পানিগুলো ও আমাদের ট্যাক্স ব্যবস্থা এক হতে পারে না।
এর উত্তরে হিলারি বলেন, আমরা ট্রাম্পের অর্থনীতির এই মতবাদকে ‘ট্রাম্পড আপ ট্রিকেল ডাউন’ নাম দিয়েছি। কারণ এভাবে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করা খুব একটা সম্ভব হবে না বলেই আমরা মনে করি। তার বদলে আমরা যদি মধ্য আয়ের মানুষগুলোকে নিয়ে ভাবি। আমরা যদি তাদের জন্য নতুন নতুন চাকরীর সুযোগ তৈরি করতে পারি, তাহলে সেটি হবে কার্যকর। ব্যবস্থা।
ট্রাম্প তার উত্তরে বলেন, না, শুধু চাকরীর সুযোগ সৃষ্টি করলেই হবে না। সেই সুযোগগুলো রক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গে আমাদের দেশের ব্যবসাগুলোকে চীনের ব্যবসা থেকে রক্ষা করতে হবে। যা গত ৮ বছর ধরে করা সম্ভব হচ্ছে না।
হিলারি এর উত্তরে বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে সেটি করা সম্ভব হয়নি।
ট্রাম্প জানান, এটি গত ৩০ বছরে সম্ভব হবে না। এখনও হিলারির পলিসিতে সম্ভব হবে না।
ট্রাম্প বাস্তবতার মুখোমুখি না হয়ে আলোচনা করছে বলে অভিযোগ করে হিলারি। এর উত্তরে ট্রাম্প জানতে চান, অর্থনৈতিক এরূপ সমস্যার জন্য কি ওবামা সরকার দায়ী?
এদিকে ‘ট্যাক্স ব্যবসায়ীদের ওপর চাপানো উচিত হচ্ছে না’ এমন মন্তব্যের পর হিলারি বলেন, আপনি কত টাকা ট্যাক্স প্রদান করেছেন? এখনও কেউ জানে না আপনার ট্যাক্স হিসাব। দ্রুত ট্যাক্স হিসাব প্রদান করুন। কারণ আপনার আগের সকল প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সবার আগে এই কাজটি করেছে।
এর উত্তরে ট্রাম্প বলেন, হিলারি যত দ্রুত তার ইমেইল প্রকাশ করবে, আমিও তত দ্রুত আমার ট্যাক্স হিসাব প্রকাশ করব।