রাঙ্গামাটিতে এবার ‘ইত্যাদি’

ittadiআমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় দৃষ্টিনন্দন স্থানগুলোতে গিয়ে ‘ইত্যাদি’র মূল অনুষ্ঠান ধারণ করা হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকেই। ইত্যাদির এই দেশ পরিক্রমার ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে মূলত পার্বত্য জনগোষ্ঠি অধ্যুষিত রাঙ্গামাটিতে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বিজিবি সেক্টর হেড কোয়ার্টারের অভ্যন্তরে লেক, সবুজ বনানী-পাহাড় আর অসাধারণ নৈসর্গিক দৃশ্য পরিবেষ্টিত সুউচ্চ হেলিপ্যাডে ধারণ করা হয় এবারের ‘ইত্যাদি’।

পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনার জেলা এই রাঙ্গামাটি। বাংলাদেশের যখন যে স্থানে ইত্যাদি ধারণ করা হয় সেই স্থানটির বৈশিষ্ট্যকে কেন্দ্র করেই সেট নির্মাণ করা হয়। ফলে দর্শকরা যেমন ওই স্থানটি সম্পর্কে জানতে পারেন তেমনি নিত্য-নতুন লোকেশনের কারণে প্রতিবারই সেট নির্মাণেও বৈচিত্র্য আসে। টেলিভিশন অনুষ্ঠানকে স্টুডিওর চার দেয়ালের ভেতর থেকে বাইরে এনে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে অনুষ্ঠান করার এই ধারণাটি এখন অনেকেই গ্রহণ করেছেন। ফলে টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণেও বৈচিত্র্য এসেছে।

রাঙ্গামাটির ঐতিহ্যের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে নির্মাণ করা আলোকিত মঞ্চের সামনে হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে এবার ধারণ করা হয় গণ-মানুষের অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’। সবসময় রাতের আলোকিত মঞ্চে ইত্যাদি ধারণ করা হলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটির এই প্রাকৃতিক রূপ রাতের বেলায় দেখানো সম্ভব নয় বলে এবার দিনের আলো থাকতেই ইত্যাদির ধারণ শুরু হয়।

ইত্যাদির ধারণ উপলক্ষে পাহাড় কন্যা রাঙ্গামাটিতে ছিল উত্সবের আমেজ। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে বিজিবির তত্ত্বাবধানে আমন্ত্রিত অতিথিরা একে একে প্রবেশ করেন অনুষ্ঠানস্থলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় অনুষ্ঠানস্থল। আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও হাজার হাজার মানুষ ভ্যাপসা গরমের মধ্যেও আশেপাশের পাহাড়, গাছ ও লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে ইত্যাদির ধারণ উপভোগ করেন। ইত্যাদির এই ধারণ অনুষ্ঠান চলে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির এই পর্ব একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচার হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত।