রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু শিশুদের অনেক ভালোবাসতেন : শফিক আদনান

শিশু-কল্যাণে প্রথম আইন করেন বঙ্গবন্ধু : অ্যাডভোকেট রানু

| প্রকাশিতঃ ১৮ মার্চ ২০১৯ | ৮:৩৫ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান বলেছেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক জীবনে ছিলেন নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শের মূর্তপ্রতীক। জীবনভর তিনি দেশ ও জনগণের কল্যাণে সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুবই ভালবাসতেন ও স্নেহ করতেন। তিনি শিশুদের কল্যাণে রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিশেষ বিধান সংবিধানে যুক্ত করেছিলেন। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮’র সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব দেন। এজন্য তাঁকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে। শিকার হতে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতনের।’

রোববার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।

স্থানীয় এক কমিউনিটি সেন্টারে সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আলহাজ নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং যুবলীগ নেতা মো. শওকতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কমিশনার, নারীনেত্রী অ্যাডভোকেট রেহানা বেগম রানু।

অ্যাডভোকেট রেহানা বেগম রানু বলেন, শিশুর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশু আইন প্রণয়ন এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় দেশে আজ শিশুঅধিকার সংরক্ষণ ও তাঁদের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ‘বিশ্ব শিশুদিবস’ এবং ‘শিশুঅধিকার সপ্তাহ’ পালন করা হচ্ছে। এছাড়া জাতীয় শিশুদিবস, বাল্যবিয়ে নিরোধ দিবস পালন, পথশিশুদের পুনর্বাসন এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ নুরুল আমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু-তনয়া প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের কল্যাণে বিভিন্নমুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর মতো তাঁর কন্যাও শিশুবান্ধব নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে তাদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবিএম লুৎফুল হক খুশী, নজরুল ইসলাম, আমিনুলক হক সওদাগর, ডা. নুরুল ইসলাম, রফিক, হালিম, আলী হোসেন, মান্না, ইদ্রিস, সেলিম সওদাগর, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা মুজিবুর রহমান, রাশেদ চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন, জাহাঙ্গীর বেগ, আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্রলীগ নেতা শাহজাহান সাজু, ইব্রাহিম রিফাত, ফয়সাল, মিজান প্রমুখ।

একুশে/প্রেসবিজ্ঞপ্তি/এসসি