ঢাকা : সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় গ্রেফতার জাহালমের আটকাদেশ কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে জাহালমের গ্রেফতারের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মামলার বাদী দুদক কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্র সচিবের প্রতিনিধি ও আইন সচিবের প্রতিনিধিকে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় সশরীরে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত।
আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনটি তিনি আদালতের নজরে আনেন। শুনানি নিয়ে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জাহালমের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
তিনি আরো বলেন, প্রকৃত আসামিকে খুঁজে বের না করে কেন নিরীহ শ্রমিক জাহালমকে গ্রেফতার করা হয়েছে? এ ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য দুদকের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মামলার বাদী, স্বরাষ্ট্র সচিবের প্রতিনিধি এবং আইন সচিবের প্রতিনিধিকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আবু সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩টি মামলা হয়েছে। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটছেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে চলেছেন এই জাহালম।
জাহালমের কারাবাসের তিন বছর পূর্ণ হবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি। দুদক এখন বলছে, জাহালম নিরপরাধ প্রমাণিত হয়েছেন। তদন্ত করে একই মত দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও। তাই একটি মামলায় তার জামিন হয়েছে। আরো ৩২টি মামলায় জামিন পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন তিনি।
একুশে/ডেস্ক/এসসি