গোপালগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তার বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

ফরিদপুর : ৪৭ লাখ ২ হাজার ৬২৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় সোনালী ব্যাংক গোপালগঞ্জ শাখার ৮ কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) এ রায় ঘোষণা করেন ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান ।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-সোনালী ব্যাংক গোপালগঞ্জ শাখার সাবেক অফিসার ক্যাশ অমল চন্দ্র বিশ্বাস, সাবেক অফিসার (ক্যাশ) এম এইচ সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক অফিসার (ক্যাশ) মো. মুনছুরুল হক, সাবেক অফিসার ক্যাশ মোশাররফ হোসেন মোল্লা, সাবেক অফিসার ক্যাশ গোলাম মোহাম্মদ মুন্সী, সাবেক অফিসার ক্যাশ দিলীপ কুমার মন্ডল, সাবেক হেড ক্যাশ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী খন্দকার এবং শওকত হোসেন মোল্লা।

এদের মধ্যে আসামী হেড ক্যাশ অফিসার শওকত হোসেন মোল্লাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও আত্মসাৎকৃত টাকার সমপরিমান জরিমানা করা হয়েছে।

আদেশ দেয়া হয়েছে অনাদায়ে ১৭ বছর কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের।

বাকি সাতজনকে প্রত্যেককে ১৮ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৯০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারক।

রায় ঘোষনার সময় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামি শওকত হোসেন মোল্লা ছাড়া বাকিরা উপস্থিত ছিলন। রায়ের পর তাদের ফরিদপুর জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়।

ফরিদপুর বিশেষ জজ আদালতের দুদুকের পিপি মজিবুর রহমান
গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংক গোপালগঞ্জ শাখার পেনশন হোল্ডার ও ভুয়া পেনশন হোল্ডারদের তালিকা দেখিয়ে ৪৭ লাখ ২ হাজার ৬২৮ টাকা ৩৮ পয়সা সরকারি টাকা আত্মসাত করেন ১০ কর্মকর্তা। ২০০৩ সালের ৮ ডিসেম্বর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ওই শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুস সোবহান। এদের মধ্যে দুইজন মামলা চলাকালে মারা যান। মামলাটি তদন্ত করেছেন ফরিদপুর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল বাশার।

একুশে/আরসি/এসসি