কাপ্তাই হ্রদে পাখিদের মিলন মেলা


বাসস : কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন স্থানে অতিথি পাখিদের মিলন মেলা বসেছে।

শীত প্রধান দেশগুলো থেকে প্রত্যেক বছর এ সময় অতিথি পাখিদের আগমন ঘটে থাকে। আর এসব পাখিদের পর্যটকদের মতো বরণ করে থাকে রাঙ্গামাটিবাসী।

দেখা যায়, রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলায় কাট্টলী বিলে অসংখ্য অতিথি পাখি স্বাচ্ছন্দে বিচরণ করছে। পুরো এলাকা জুরে অতিথি পাখিদের মিলন মেলা বসে গেছে।

কাট্টলী বিলটি শুধু মাছের অভয়রাণ্য নয়। বর্তমানে বিলটি এখন অতিথি পাখিদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।

এদিকে কাপ্তাই হ্রদে ভ্রমণ করা পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু থাকে কাট্টলী বিলটি দেখার। এখানে ভ্রমণ করার সময় দেখা মিলবে জেলেরা নানা রকম জাল দিয়ে মাছ ধরতে ব্যস্ত সময় পার করছে, ঠিক অন্যদিকে অতিথি পাখিরা তাদের ভুড়ি ভোজন সারতে মাছ শিকারে মহাব্যস্ত।
হাজার-হাজার অতিথি পাখিগুলো ঝাঁকে-ঝাঁকে উড়ে বেড়াচ্ছে। স্বচ্ছ জলধারায় ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব পাখিদের কিচিরমিচির কলকাকলিতে ভ্রমণ পিপাসু যেকোন মানুষের মনকে আছন্ন করে তোলে।

এ এলাকায় যেসব বিদেশী প্রজাতি পাখিগুলোর দেখা মিলে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বৈধর হাঁস, রাজ বৈধর, কোরালী, সাদা ঝুঁটি, পানকৌড়ি, কালোঝুঁটি পানকৌড়ি।

এখানে যেসব দেশীয় প্রজাতির পাখির দেখা মিলে তার মধ্যে যেমন- সাদা বক, গাংচিল, শামুকখোল বকসহ প্রভৃতি জাতের। এর মধ্যে বিদেশী জাতের কালোঝুঁটি পানকৌড়ি সারাবছর এ এলাকায় বাস করে।

এক সময় এ বিলে হাজার-হাজার অতিথি পাখির মিলন মেলা ঘটলেও বর্তমানে এর সংখ্যা দিন-দিন হ্রাস পাচ্ছে। হ্রদ এলাকায় জেলেদের আনাগোনা, সাধারণ যাত্রীবাহী ইঞ্জিনচালিত নৌকা এবং স্টিমার চলাচলে পাখিদের বিচরণ ভূমিটি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দিনদিন।

এছাড়া ওই এলাকায় অসাধু একটি চক্র তৈরি হয়েছে যাদের কাজ হচ্ছে এ বিল থেকে অতিথি পাখি শিকার করা। এসব অতিথি পাখি শিকার করে বাজারে চড়াদামে বিক্রি করে যাচ্ছে চক্রটি। এ অসাধু পাখি শিকারীদের কারণে বর্তমানে পাখিদের সংখ্যা আরও কমে যাচ্ছে।

স্থানীয় পাখি প্রেমীদের দীর্ঘদিনের দাবি- এ বিলে সাধারণ যাত্রীবাহী নৌকা চলাচল এবং জেলেদের মাছ শিকার বন্ধ এবং অবৈধ পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা গেলে বিলটি তার হারানো ঐতিহ্যর গৌরব ফিরে পাবে।