একুশে প্রতিবেদক : ভোটের ১৯ দিন পর বিজয় উৎসব পালন করছে আওয়ামী লীগ।আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার আদলে তৈরি করা হয় ‘বিজয় মঞ্চ’ তার পেছনের ব্যানার সাজানো হয় দলের এবারের ইশতেহারের মলাটের রঙে। বৈঠাসহ ছোট বড় ৪০টিরও বেশি নৌকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ফেস্টুনে সাজানো হয় সমাবেশ মাঠ।
লালসবুজ টি-শার্ট, ক্যাপ পরে সমাবেশ স্থলে বিজয় উৎসব উদযাপনে সারাদেশ থেকে কয়েক লাখ নেতাকর্মী যোগ দেয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ‘জয় বাংলার’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে চারিদক। নির্বাচনের জয়ের পর দলটির নেতা কর্মীদের শোডাউনের প্রথম সুযোগ এটি।
আওয়ামী লীগ ছাড়াও মহাজোটের শরিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, সাংবাদিক, কবি-সাহিত্যিক, পেশাজীবী, সংস্কৃতি ও বিনোদন জগতের প্রতিনিধিরা উপস্থিতি ছিলো।
দুপুর আড়াইটা থেকে শুরু হবে বিজয় সমাবেশ। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের সঙ্গে ঢাক-ঢোলের বাদ্যে মুখর এই নেতা-কর্মীদের দুপুরে মাতিয়ে তোলেন জনপ্রিয় সব সঙ্গীত শিল্পী। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলমের পাশাপাশি কণ্ঠ মেলান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া মমতাজও। এছাড়াও গান গেয়ে শোনান ফকির আলমগীর, জানে আলম, পথিক নবী, আঁখি আলমগীর, সালমা। ব্যান্ড দল জলের গানও তাদের পরিবেশনা নিয়ে আসে এই উৎসবে।
গানে গানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বন্দনা যেমন ছিল, তেমনি ছিল গত এক দশকে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথাও।
শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের ‘বাড়ি বাড়ি মিষ্টি বিলায় মিয়া ভাইয়ের শালা, সব নেতার চাইতে আমার শেখ হাসিনা ভালা। সব মার্কার চেয়ে আমার নৌকা মার্কা ভালা।’ গানটি শুনে হাততালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে ভাষণ শুরু করেন শেখ হাসিনা। শুরুতেই পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয়।
শেখ হাসিনা প্রথমেই ৩০ লাখ শহীদ, স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনে শহীদ, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জানান।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৫৭টি আসনে জয় পায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করেছে দলটি।
নির্বাচনে জয় লাভের পর বিজয় মিছিল না করার ঘোষণা দেন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিজয় উৎসবে মুগ্ধ সকলে।
একুশে/এসসি