হাসিনা আকতার নিগার : অভাবনীয় বিজয়ে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন-প্রক্রিয়া নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছেন। যার ফলে দলের নেতাকর্মী নির্বাচনের আগে একটা বিষয় পরিস্কার হয়েছে, দেশের জনগনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সপক্ষের শক্তিকে জাগ্রত রাখতে হবে। আর সে জন্য আওয়ামী লীগকে আবার নির্বাচিত হতে হবে। নিজেদের ভিতরের অর্ন্তদ্বন্দ্ব কোনোভাবে কল্যাণকর হবে না দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে।
বিগত দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগ যে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে তা এখনো চলমান। এই চলমান কাজগুলোকে দৃশ্যমাণ করতে হলে আগামী সরকার শেখ হাসিনার নেতৃতে হতে হবে তাতে কোনো সন্দেহ ছিল না।
আওয়ামী লীগের মত বড় দলে নেতাকর্মীদের মাঝে সাংগঠনিক বিষয়সহ নানা কারণে মতবিরোধ থাকা অস্বাভাবিক কোনো ব্যাপার নয়। যা নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে নির্বাচনে প্রভাব পড়ার আশংকা ছিল। কিন্তু সে আশংকাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা। যা শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে দলনেত্রী শেখ হাসিনার জন্য। তিনি এককভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা আর প্রজ্ঞা দিয়ে।
এর রেশ ধরেই নেত্রীকে চমক দিয়েছে চট্রগ্রামের আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী ও সর্মথকেরা৷ চট্টলবীর মেয়র মহিউদ্দিনের চিরবিদায়ের পর থেকে একধরনের শীতিলতা এসেছিল এখানকার রাজনৈতিক অঙ্গনে। দলের ভেতর গ্রুপিং প্রায়শ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। যার সমাধান নেত্রী দিয়েছেন সফলভাবে।
নির্বাচন-কার্যক্রম শুরুতেই চট্রগ্রামের বর্তমান মেয়র আ জ ম নাসিরউদ্দিন নিজের দলীয় অবস্থান থেকে আওয়ামী লীগসহ সকল অঙ্গ সংগঠনকে সাথে নিয়ে কাজ করেছেন নিরলসভাবে। তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন সারা চট্রগ্রামে। নেত্রীকে কথা দিয়েছিলেন সব আসন উপহার দেবার। দলের প্রার্থীতা নিয়ে বিরোধ মিটিয়ে সকলকে নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।
সত্যিকারভাবে প্রতিটি আসনের প্রার্থীকে জয়ী করতে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়েছে দলীয় লোকজন রাতদিন। যা থেকে প্রমাণিত হয়েছে ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। নেত্রীকে দেয়া কথা রেখে সব আসনে আওয়ামী লীগের বিজয় চট্রগ্রামের রাজনীতিতে এক নতুন দিনের সূচনা করবে এমন প্রত্যাশা সকলের৷ আর সে সাথে আগামী পাঁচ বছরে চট্টগ্রাম সাজবে উন্নয়নের নতুন সাজে- নতুন সরকারের কাছে এটাই জনগণের চাওয়া।
হাসিনা আকতার নিগার : কলাম-লেখক