জি-২০ সম্মেলন: শুধু কথায় সীমাবদ্ধ না থাকার আহ্বান চীনা প্রেসিডেন্টের

g-20-চীনের হাংচৌতে প্রথমবারের মতো বিশ্বের বড় অর্থনীতির ২০টি দেশ নিয়ে দুই দিনের জন্য শুরু হয়েছে জি-২০ বার্ষিক সম্মেলন। রবিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা। এছাড়া স্টিল শিল্প সংকট, বেক্সিট পরিস্থিতি এবং অ্যাপলের মতো বহুজাতিক কোম্পানির কর সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। খবর বিবিসির।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্মেলনের শুরুতেই বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ২০ অর্থনীতির ভূমিকা তুলে ধরেন। উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘শুধু কথা’ বা আলাপ-আলোচনায় সীমাবদ্ধ না থেকে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জনে সবার একসঙ্গে কাজ করা উচিত।’

জিনপিং আরও বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, কিন্তু অর্থায়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।’

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো কোনো সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন থেরেসা মে। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে এ সম্মেলনে যোগ দিয়ে শেষ রাষ্ট্রীয় সফর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের প্রথম দিন বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছাড়াও বিশ্ব স্টিল উৎপাদনে চীনের ভূমিকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অধিক হারে সস্তা স্টিল উৎপাদন করছে চীন, যার ফলে ইউরোপের স্টিল শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ ইয়ুংকার।

তিনি বলেন, ‘চীনকে অবশ্যই তাদের অধিক উৎপাদনে যাওয়ার কারণ বলতে হবে। এটা একবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের অধিক উৎপাদনের কারণে কয়েক বছর ধরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইউরোপরে স্টিল শিল্প। চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে বহু শ্রমিককে। এ ছাড়া আয়ারল্যান্ডে অ্যাপলের কর ব্যবস্থাপনার বিষয়টি উঠে আসে আলোচনায়।’

জি-২০ সম্মেলন শুরু হওয়ার একদিন আগে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস আবারও কমানোর ইঙ্গিত দেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দে। এর আগে জুলাইতে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমায় সংস্থাটি। তাঁরা জানান, চলতি বছর বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) গড় প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে।