দলের সংকট সমাধানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পরামর্শ নেওয়া বন্ধ করতেও বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা বিভাগীয় কমিটি।
গত বৃহস্পতিবার ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন। তবে দলটির এক অংশের নেতারা পাল্টা ঘোষণায় ২০ দলে থাকার কথা জানিয়েছেন।
এর দুইদিন পর শনিবার এক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অভিযোগ তোলেন, ‘ভোটারহীন নির্বাচনে’ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে ‘দেউলিয়া’ হয়ে বিরোধী জোটে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
‘বিভ্রান্ত’ রাজনীতি নিয়ে বিএনপি বিপদে পড়েছে মন্তব্য করে সুরঞ্জিত বলেন, “বুদ্ধি দেবে তারেক রহমান, সিদ্ধান্ত নেবে খালেদা জিয়া, এভাবে এত বড় দল চলে না। বিভ্রান্ত রাজনীতি নিয়ে আপনারা বিপদে পড়েছেন।
“খালেদা ও তারেকের পরামর্শের কারণে আপনার সংকটে আছেন। তাদের পরামর্শ ত্যাগ করেন, তাহলেই সংকটের সমাধান হবে।”
সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত বলেন, “বাংলাদেশে আপনারা যে কৃত্রিম রাজনীতি তৈরি করেছেন, এটা রাজনীতির মধ্যে পড়ে না। যত রকমের দুই নম্বরী কারবার, সবই আপনারা করেছেন।”
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, “তারা (বিএনপি) সে সময় এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চেয়েছিল। একদিকে নির্বাচন, আরেক দিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করা। দুটোতেই বিফল হয়েছে।
“আপনারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে সহিংসভাবে নির্বাচন প্রতিহত করতে চেয়েছিলেন। আপনাদের প্রধান হাতিয়ার ছিল জামায়াত।”
শটকার্ট পথে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ক্ষমতায় আসতে হলে দুটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। একটি অভ্যুত্থান আর অন্যটি নির্বাচন। অভ্যুত্থানের শক্তি বিএনপির নেই।”
“দেখতে দেখতে এই সরকারের দুই বছর পার হয়ে গেছে। দল ঠিক করুন, দেখতে দেখতে নির্বাচনের সময় চলে আসবে।”
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।