শংকর চৌধুরী, খাগড়াছড়ি: পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বাতিল ও বৈঠকের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে পাঁচ বাঙালি সংগঠনের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত ।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের শাপ্লা চত্ত্বরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পিকেডিং করে হরতাল সমর্তন কারিরা।
এছারাও চেঙ্গী স্কোয়ার, কলেজ গেউট, বাসটার্মিনাল, জিরো পয়ন্ট, নেন্সি বাজারসহ জেলার বিভিন্ন পয়ন্টে পিকেডিং করতে দেখা গেছে।
খাগড়াছড়ি শহর থেকে দুরপাল্লার কোন যানবাহনও ছেড়ে যায়নি, জেলার সকল গুরুত্বপূর্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, সমঅধিকার আন্দোলন, পার্বত্য গণ পরিষদ, বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ’র ডাকে হরতাল চলাকালিন শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
হরতালের বিষয়ে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রিয় সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মজিদ বলেন বিতর্কিত ভুমি কমিশন আইনের কারণে এই এলাকার বাঙালীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং সরকারও পাহাড়ের কর্তৃত্ব হারাবে বিধায় তারা আইনটি বাতিলের দাবীতে হরতাল পালন করছে তারা।
জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন জানান, শহরের বিভিন্ন পয়ন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এখনো পযর্ন্ত কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি শান্তিপূর্ণ ভাবে হরতাল পালন করেছে নেতাকর্মিরা।
২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে পার্বত্য ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই মাসে ১৩ (সেপ্টেম্বর) তিনি যোগদান করেন। তবে আইন সংশোধনে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের দাবির মুখে তিনি কাজ শুরু করতে পারেননি বলে জানাযায়।
দায়িত্ব গ্রহনের প্রায় দুই বছর পর এটি হবে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের পঞ্চম চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার-উল হকের প্রথম বৈঠক।
ইল্ল্যেখ গত ১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ভোটিং সাপেক্ষে ‘পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয় এবং ৯ আগস্ট তা অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।