রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

বাংলাদেশের উন্নয়নে অভিবাসীদের অবদানের স্বীকৃতি দিল সিউল দূতাবাস

প্রকাশিতঃ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ | ৯:৩০ অপরাহ্ন

দক্ষিণ কোরিয়া : আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে ৫ ক্যাটাগরিতে ১৩ বাংলাদেশি ইপিএসকর্মী এবং ৫ জন কোরিয়ান নিয়োগকর্তাকে সম্মাননা দিয়েছে সিউল দূতাবাস।

রোববার কেইবি হানা ব্যাংকের অডিটোরিয়ামে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এইচ. আর. ডি. কোরিয়া, কমওয়েলথ-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন দূতাবাসের লেবার অ্যাটাশে, বাংলাদেশি ইপিএসকর্মী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশি ৫ ইপিএসকর্মীর সমবেত কণ্ঠে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মুকিমা বেগম দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

এতে “হ্যাপি রিটার্ন” প্রোগামের উপর এইচ. আর. ডি. কোরিয়ার একটি উপস্থাপনা করেন রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। তিনি সম্মাননাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি ইপিএসকর্মীদের অভিনন্দন জানান এবং বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে তাদের সংশ্লিষ্টতার ভূঁয়সী প্রশংসা করেন।

এসময় রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ দায়িত্বশীল, নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসনের জন্য “গ্লোবাল কমপ্যাক্ট”-এর ধারণাটি বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে উপস্থাপন করে। দুইবছর পর্যালোচনার পর ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর এটি জাতিসংঘে গৃহীত হয়।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রবাসী কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। অভিবাসনের গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এ বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

এসময় তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি ইপিএসকর্মীদের কর্মনিষ্ঠা, আনুগত্য এবং তাদের সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি ইপিএসকর্মী নিয়োগের জন্য ৫ কোরিয়ান নিয়োগকর্তাকে সম্মাননা প্রদান করে সিউল দূতাবাস। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বৈধ উপায়ে সর্ব্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণ, একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অবস্থান, ভিসা ক্যাট্যাগরি পরিবর্তন এবং কোরিয়ান সরকার কর্তৃক সম্মাননা প্রাপ্তির জন্য ১৮ বাংলাদেশি ইপিএসকর্মী সম্মাননা লাভ করে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মি. কিম হিয়স সং, প্রতিনিধি, হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অব কোরিয়া, দূতাবাসের কাউন্সেলর (বাণিজ্য উইং) মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন প্রথম সচিব (দূতাবাস) রুহুল আমিন।

এছাড়া অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিকপর্বে বাংলাদেশের স্বনামধন্য অভিনয়শিল্পী মোমেনা চৌধুরী অভিনীত মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের এক বীরঙ্গনার সংগ্রামী জীবনের নাট্য প্রকাশ “লাল জমিন” মঞ্চস্থ হয়। অভিনয়শিল্পী মোমেনা চৌধুরীর অনবদ্য অভিনয় দর্শকদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে একটি ভিন্ন মাত্রায় উপস্থাপিত করে।

একুশে/ওএফএইচ/এটি