ছিনতাইয়ের শিকার সাংবাদিক-কন্যা

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে বেড়াতে এসে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনামিকা সরকার (২৩)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ফাইনাল বর্ষের ছাত্রী ও অনলাইন দৈনিক বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার এসএম আব্বাসের একমাত্র মেয়ে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর তিনপুলের মাথা এলাকায় ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং ৭৩, তারিখ ২১/১২/১৮ ইংরেজি।

ছিনতাইয়ে ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে মামলার পরপরই পুলিশ কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন।

তিনি বলেন, মামলা নিয়েই আমরা ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। এজন্য একটা স্পেশাল টিমও গঠন করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই ছিনতাইকারীরা ধরা পড়বে এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার হবেই।

ছিনতাইয়ের শিকার ঢাবির শিক্ষার্থী অনামিকা সরকার জানান, আমার বান্ধবী উর্মির বাসা চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার কবি নজরুল ইসলাম রোডে। আমার আরেক বন্ধু মঞ্জুরুল ইসলাম থাকেন চট্টগ্রামে। বন্ধুদের বাসাবাড়িতে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে দুপুরে ঢাকা থেকে রওয়ানা হই আমি। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌঁছায় নগরীর জিইসি মোড়ে। সেখান থেকে বন্ধু মঞ্জুরুলের সঙ্গে দেখা সাক্ষাতের পর রাতে রিক্সাযোগে বান্ধবী উর্মির কোতোয়ালী বাসায় যাওয়ার পথে নগরীর তিনপুলের মাথা কৃষঞ কুমারি স্কুলের সামনে এসে পৌঁছালে সংঘবদ্ধ একটি ছিনতাইকারীর দল দ্রুতগামি একটি সিএনজি নিয়ে পিছন থেকে আমার হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ টান মেরে নিউ মার্কেটের দিকে দ্রুত চলে যায়।

অনামিকা আরো জানান, তার ছিনিয়ে নেওয়া ব্যানিটি ব্যাগে অপ্পো এফ নাইন ব্রান্ডের একটি মোবাইল সেট, যার মূল্য ২৯ হাজার টাকা, হোওয়াই জি প্লে মিনি একটি মোবাইল সেট, যার মূল্য ১৬ হাজার টাকা, ভোটার আইডি কার্ড, ভার্সিটির আইডি কার্ড, নগদ তিন হাজার টাকাসহ কসমেটিক সামগ্রী ছিল।

সর্বস্ব হারিয়ে অনামিকা সরকার রাতেই কোতোয়ালী থানায় যান। অজ্ঞাতনামা সিএনজি ড্রাইভারসহ ছিনতাইকারীদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

একুশে/এটি