লান্ডি কোটাল ক্যান্টনমেন্টে ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা জেমস স্কোইডের নির্দেশে ১৮৯৮ সালে গ্রেপ্তার করা হয় এক বটগাছকে। দেশভাগের পর মানচিত্রে যার অবস্থান বর্তমান পাকিস্তানের পেশোয়ারে। ১১৮ বছর ধরে এখনো গাছটি বাঁধা রয়েছে শেকলে এবং যার গায়ে ঝুলছে ‘আমি গ্রেপ্তার’ লেখা একটি সাইনবোর্ড। হয়তো পাকিস্তান সরকার মনে করছে, বাঁধন খুলে দিলে পালিয়ে যেতে পারে গাছটি। নতুবা ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য করার স্পর্ধা দেখাচ্ছে না।
সম্প্রতি পাকিস্তানের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় এই খবর ছড়িয়ে পড়ে।
লান্ডি কোটাল ক্যান্টনমেন্টে ব্রিটিশ সেনা জেমস নেশার ঘোরে হাঁটার সময় দেখতে পান, বটগাছটি তার দিকে এগিয়ে আসছে। সঙ্গে সঙ্গে সৈন্যকে ডেকে হুকুম দেন, গ্রেপ্তার কর গাছকে। সৈন্যরাও ছুটে এসে আষ্টেপৃষ্টে শেকল পরিয়ে দেয়। তখন থেকেই শেকলে বাঁধা রয়েছে বেচারা বটগাছ। এরপর ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হলো। ব্রিটিশরা উপমহাদেশ ছাড়লো। পাকিস্তানের ইতিহাসে অনেক শাসক এলো-গেলো, কিন্তু গাছিটির শাস্তি যেনো শেষই হচ্ছে না।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, পাকিস্তান-আফগান সীমান্তের লান্ডি কোটালের উপজাতি সম্প্রদায়কে শিক্ষা দিতেই বটগাছকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিল তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। যাতে উপজাতিরা বুঝতে পারে, প্রয়োজনে এমন শাস্তি তাদেরও দেয়া হবে।
অনেকেই শতবর্ষী গ্রেপ্তারকৃত গাছকে এক নজর দেখতে ছুটে আসেন বলে জানা যায়। লান্ডি কোটাল পাকিস্তানের খুব চোট এক শহর এবং এখানে মূলত উপজাতিদের বাস।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, এই গাছটি এখনো ব্রিটিশদের নির্মমতা এবং অন্যায়ের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।