ঢাকা : জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সঠিক আস্থার জায়গাটা নষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেত ড. কামাল হোসেন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ছত্রছায়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপব্যবহার হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ মানবাধিকার ফেডারেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, পুলিশের এই অবস্থান এখনি থামানো না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কোন আশা থাকবে না। সাহস থাকলে তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ এই নেতা ।
কামাল হোসেন বলেন, ৪৭ বছরে বিচার বিভাগসহ সবগুলো প্রতিষ্ঠান নানা ভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, মানবাধিকার বলে কিছুই নেই। নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে। পুলিশকে জনগণের ওপর লেলিয়ে দেয়া হচ্ছে। সংবিধান পরিপন্থীভাবে পুলিশ গনগ্রেফতার করছে। দেশে সুশাসন আছে যে বলছে, সে মিথ্যুক। এজন্য বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের এখনো দশ দিন বাকি আছে। নির্বাচন কমিশনকে বিবেকবান হয়ে সংবিধানের আলোকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ভালো ভোট না হলে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
সভায় জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ইঙ্গিত দেয়। এই অবস্থায় নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলগুলোকে হাল না ছাড়ার আহবান জানান তিনি।
আর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, নির্বাচনে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারা চোখ বুজে থেকে লেভেল প্লেইং ফিল্ড দেখছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
একুশে/আরসি/এসসি