একুশে পত্রিকার কোরিয়া জয়

দক্ষিণ কোরিয়া রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামসহ কোরিয়ান সাংবাদিকদের হাতে হাতে একুশে পত্রিকা

ওমর ফারুক হিমেল : দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে মূলত অনুষ্ঠানটি ছিল দূতাবাসের বইমেলা ও কবিতা পাঠের আসেরর। সবকিছু ছাপিয়ে সেখানেই স্বতন্ত্র জায়গা করে নেয় চট্টগ্রামের পাঠকনন্দিত একুশে পত্রিকা।

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে দূতাবাসের হলরুমে চলে একুশের পত্রিকা প্রিন্ট ভার্সনের বর্ণিল প্রদর্শন। একুশের বর্ণময় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম।

প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন কোরিয়ান খ্যাতিমান অনলাইন পত্রিকা দেহান ইলবোর চীফ এডিটর কোং বুয়েংচাং, কোরিয়ান লোকসংগীতশিল্পী যে ইন ছুক, বাংলাদেশি কোরিয়ান গায়ক কেবিএস, টেলিভিশনের নিয়মিত শিল্পী বাং দে খান, কাউন্সেলর মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী, বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব রুহুল আমিন, কোরিয়ান শিল্পী ছুক কোয়াং, একুশে পত্রিকার দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিনিধি ওমর ফারুক হিমেল, চট্রগ্রাম অ্যাসোসিয়েশান অফ সাউথ কোরিয়ার সভাপতি মেক্সিন চৌধুরী, ছাত্র, শিক্ষক, ইপিএস রেমিটেন্স যোদ্ধাগণ, স্থানীয় আলোকচিত্রীসহ শতাধিক অতিথি।

রাষ্ট্রদূতসহ উপস্থিত কোরিয়ানদের হাতে হাতে শোভা পায় একুশে পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যা। তারা একুশের প্রিন্ট ভার্সন হাতে পেয়ে আনন্দিত হন। পত্রিকাটির গেটআপ, মেকআপের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে একুশের অনলাইন ভার্সন পড়ার অভিজ্ঞতার কথা জানান দক্ষিণ কোরিয়া রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। তিনি বলেন, একুশে পাঠকনন্দিত, বহুলপঠিত, সমাদৃত পত্রিকা। একুশের প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণ অত্যন্ত রুচিশীল ও স্মার্ট। দেশ-বিদেশের সংবাদ, ব্যতিক্রমী সংবাদ-ফিচার নির্বাচন, পত্রিকার মেকআপের ভূঁয়সী প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, সাপ্তাহিক একুশে পত্রিকা হতে পারে মানুষের পথপ্রদর্শক। কারণ একুশে পত্রিকা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সমাজের অসংগতি তুলে ধরতে কাজ করছে।

তরুণদের জন্য সংবাদপত্র আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তরুণরা মুক্তিযুদ্ধসহ অনেক কিছুই দেখেনি, তারা শুধু ইতিহাস জানে। প্রকৃত ইতিহাসলব্ধ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে তরুণরা এই সাপ্তাহিকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারবে। বলেন রাষ্ট্রদূত।

দূতাবাসের সংবাদ কভারেজ দেয়ার জন্য একুশে পত্রিকার সম্পাদক ও একুশে পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান রাষ্ট্রদূত।

দেহান অনলাইন পত্রিকার চীফ এডিটর কোং বুয়েংচাং বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতির বর্ণময় পরিচয় তুলে ধরতে ভূমিকা রাখছে একুশে পত্রিকা। তিনি সহসা বাংলাদেশ সফর এবং একুশে পত্রিকা কার্যালয় পরিদর্শনের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

দূতাবাসের প্রথম সচিব রুহুল আমিন একুশে পত্রিকার সাপ্তাহিক প্রিন্ট ভার্সনের পাশাপাশি সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম চালু রাখায় একুশে পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। মাঝেমাঝে একুশের অনলাইন নিউজে চোখ রাখেন বলেও জানান তিনি।

কাউন্সেলর মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী বলেন, একুশে পত্রিকা যেভাবে দূতাবাসের নিউজ কভার করে তাতে আমরা খুশি, আনন্দিত। একুশে পাঠকের মন জয় করে যুগ থেকে যুগান্তর ঠিকে থাকুক সেই কামনা করি।

প্রকৃতপক্ষে দূতাবাসের বইমেলা ও কবিতা আসর অনুষ্ঠান এক পর্যায়ে পরিণত হয় একুশে পত্রিকার প্রশংসা অনুষ্ঠানে। কোরিয়ান প্রবাসী বাংলাদেশি, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার মুখে ছিল একুশের গল্প, একুশের জয়গান।

একুশে/ওএফএইচি