দূতাবাসের আয়োজনে কোরিয়ায় বইমেলা ও কবিতাপাঠের আসর

দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিনিধি : মানুষের আত্মিক উন্নয়নে কবিতাচর্চা ও বইয়ের বিকল্প নেই। মানুষের জন্যই বই, মানুষের জন্যই কবিতা। আর কবিতার জন্যই শিল্প ও সমাজ। বই আর কবিতাই পারে মানুষের সার্বিক জীবনে প্রভাব ফেলতে।

এ উপলব্ধি থেকে কোরিয়ার মাটিতে প্রথমবারের মতো বইমেলা ও কবিতাপাঠের আসর বসলো বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে।

রোববার (২ ডিসেম্বর) দূতাবাসের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী বিভিন্ন উপন্যাসের সম্ভার, জাতির মহোত্তম নেতা বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক বই, মুক্তিযুদ্ধ, প্রথিতযশা সাহিত্যিকদের রচনাবলী, শিশুতোষ সাহিত্য, কবিতার বই, বাংলাদেশের সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বই প্রদর্শন করা হয়।

এ ছাড়া বিকেল তিনটা থেকে আয়োজন করা হয় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কবিতা, গানের আয়োজন। এতে উপস্থিত ছিলেন কোরিয়ান লোকসংগীত শিল্পী, বাংলাদেশি প্রবাসী ও কোরিয়ান নাগরিক।

এর আগে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম সিউলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম আলোকিত মানুষ ও মানবিক সমাজ গঠনে বই পাঠের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়াকে টেকসই করার জন্য জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও জাতি গড়ে তোলার বিকল্প নেই। তিনি কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বাংলা সাহিত্যের সাথে পরিচিতি করে তোলার উদ্দেশ্যে বেশি করে বাংলা বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে আহ্বান জানান।

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর উপস্থিত দর্শনার্থীবৃন্দ ঘুরে ঘুরে মেলার বইসমূহ প্রদর্শন করেন এবং কেউ কেউ মেলাপ্রাঙ্গণেই বইয়ের পাতায় নিমগ্ন হন।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর অংশবিশেষ পাঠ করেন। কবিতা-আসরে বাংলাদেশের বরেণ্য কবিদের কবিতাপাঠ এবং গান পরিবেশন করা হয়। বিজয়ের মাসে ব্যতিক্রম এই আয়োজন সিউলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। যেন বিদেশের মাঠিতে বাংলাদেশের বর্ণময় পরিচয়।

একুশে/ওএফএইচ/এটি