ঢাকা : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতে দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করেছেন আদালত।
সম্পদের হিসাববিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে ২০০১ সালে ৭ এপ্রিল ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের নোটিশটি ওই বছরের ১০ জুন রফিকুল ইসলাম মিয়া গ্রহণ করলেও কোনও জবাব দেননি।
এই মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া তিন বছর সাজার বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার করা আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৬ নভেম্বর) আপিল ও জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী। অন্যদিকে, দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া তিন বছর সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। একইসঙ্গে ওই রায়ের বিরুদ্ধে সাজা স্থগিত এবং জামিন চাওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী এ আবেদন জানান।
গত ২০ নভেম্বর দুদকের এ মামলায় রফিকুল ইসলাম মিয়াকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ-৬ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহবুব। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। রায় ঘোষণার পরপরই আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এরপর ওইদিনই (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে ইস্কাটনের বাসায় ফেরার পর রফিকুল ইসলাম মিয়াকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে ২১ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তারের আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
একুশে/এসসি