নিজস্ব প্রতিনিধি : সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলনের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে চাঁদপুরের আদালত।
শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে মিলনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সফিউল আজমের আদালতে হাজির করা হলে আদালত এ আদেশ দেন।
চাঁদপুরের বিভিন্ন আদালতে মিলনের নামে ২৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি মামলায় মিলনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও চাঁদপুর-১ আসনের সাবেক এমপি মিলনকে শুক্রবার ভোর রাতে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) চট্টগ্রাম নগর ডিবির সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে নগরীর চট্টেশ্বরী বিএনপি নেতা শাহ আলমের বাসায় অভিযান চালিয়ে আটক করে তাকে।
চাঁদপুর আদালত থেকে বিভিন্ন মামলায় জামিন নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান মিলন। সম্প্রতি বিদেশ থেকে দেশে এসে আত্মগোপন ছিলেন তিনি।
পুলিশ জানায়, ১৭ মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মিলন ওই বাসায় গত ১৩ নভেম্বর থেকে আত্মগোপনে ছিলো। চট্টগ্রাম থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় মিলনকে আনা হয় চাঁদপুর৷
জেলা ডিবি কার্যালয়ে ২ ঘন্টা রাখার পর সকাল সাড়ে ১০টায় আনা হয় আদালতে। বেলা ১টায় নেয়া হয় জেলা কারাগারে।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার ৪৫২ চট্টেশ্বরী রোডের ‘মমতাজ ছায়ানীড়’ নামে একটি বাসা থেকে চাঁদপুর ও সিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে আ ন ম এহসানুল হক মিলনকে গ্রেফতার করে।
রাত আড়াইটার দিকে প্রায় ১০/১২ সদস্যের গোয়েন্দা দল ওই বাসায় বিএনপি নেতা এহসানুল হক মিলনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ঘেরাও করে। ৪৫২ চট্টেশ্বরী রোডের ওই বাসার মালিক শাহ আলম বিএনপি নেতা এহসানুল হক মিলনের আত্মীয়।
রাত আড়াইটা থেকে পুলিশ ওই বাসার গেইট খোলার জন্য বার বার অনুরোধ করার পরও প্রথমে গেইট খোলা হয়নি। পরে ভোর রাত ৪টার দিকে পুলিশ গেইট ভাঙ্গার চেষ্টা করলে খুলে দেয়া হয় ভিতর থেকে। এরপরই পুলিশ সাবেক মন্ত্রী মিলনকে আটকের কথা জানালে তিনি ৩০ মিনিট সময় চেয়ে গোসল করে নামাজ পড়েন। পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ মিলনকে নিয়ে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
একুশে/আরসি/এসসি