নিজস্ব প্রতিবেদক : কারাভোগের ২২ দিন পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সোমবার সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় জামিন পান বিএনপির এই নেতা।
রোববার উচ্চ আদালতে জামিনের আদেশ হাতে পায় কারা কর্তৃপক্ষ। যাচাই-বাছাই শেষে আজ (সোমবার) সকালে তাকে মুক্তি দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার মনির হোসেন।
আদালত সূত্র জানায়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের দেশব্যাপী আন্দোলনের সময় নওমী নামে এক বিএনপি কর্মীর সঙ্গে আমীর খসরুর ‘কথিত’ ফোনালাপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই ফোনালাপে ঢাকায় ৪শ’-৫শ’ লোক নামিয়ে দেয়ার কথা বলেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, এখনই তো সময়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওই আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে নেপথ্যে থেকে বিএনপি কলকাঠি নাড়ে বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ।
৪ আগস্ট চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় বিএনপির প্রভাবশালী নেতা আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মামলা করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন (সংশোধিত ২০১৩/৫৭ (২) ধারা) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায় করা মামলায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সাবোটাজ’ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা এবং ‘উসকানি’ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে খসরু ছয় সপ্তাহের জামিন পান।
জামিনের মেয়াদ শেষে ৭ অক্টোবর তিনি চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন। সেদিন শুনানি শেষে বিচারক আকবর হোসেন মৃধা ২১ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিনের মেয়াদ বর্ধিত করেন।
মেয়াদ শেষে রোববার নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতে হাজির হয়ে খসরু জামিনের আবেদন জানান। এ সময় আমীর খসরুর জামিনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী।
একুশে/এসসি