নিজস্ব প্রতিনিধি : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সঙ্গীত শিক্ষক মনিকা (৪৫) বড়ুয়া রাধার সঙ্গে পরিচয় হয় ভারতের নাগরিক ব্যবসায়ী কমলেশ কুমার মল্লিকের (৩৫) সাথে।
পরিচয় প্রেমে রুপ নিলে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। নিজের ইচ্ছায় ভারত গিয়েছিলেন মনিকা। তার ভারত যাওয়ার সবই মনিকার বোনরা জানতো। ভারত থেকে বোনদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার। এমনকি বাড়ি ছাড়ার আগে দুই মেয়েকে বলেও যান মনিকা।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আমেনা বেগম জানান, গত ১২ এপ্রিল শ্যামলী পরিবহনের গাড়িতে মনিকাকে নিয়ে বেনাপোল সীমান্তে যান কমলেশ। পাসপোর্ট-ভিসা না থাকায় অবৈধভাবে সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে নিয়ে যান মনিকাকে। এরপর তারা কলকাতায় একটি মন্দিরে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সিদ্ধেশ্বরী এলাকার একটি ফ্ল্যাটে সংসার পাতেন। মনিকা নাম বদলে নেন অনামিকা মল্লিক। স্বামীর সূত্রে স্থানীয় আধার কার্ডও পান তিনি।
গত ১২ এপ্রিল লালখান বাজারের হাই লেভেল রোডের বাসা থেকে গান শেখানোর জন্য বের হয়েছিলেন মনিকা। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ বিষয়ে গত ১৩ এপ্রিল নগরীর খুলশী থানায় চট্টগ্রামের সাংবাদিক দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর ২৮ এপ্রিল অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে অপহরণ সন্দেহে মামলা করেন দেবাশীষ।
আমেনা বেগম আরাে জানান, ব্যবসার কাজে ৩ নভেম্বর বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। পরে গত ৪ নভেম্বর ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে কমলেশের মাধ্যমে কৌশলে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ৬ নভেম্বর বাংলাদেশে এনে গ্রেপ্তার করা হয় মনিকাকে।
আমেনা বেগম জানান, মনিকা পুলিশকে জানিয়েছে, অপহরণ নয়, তিনি স্বেচ্ছায় ভারতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মনিকার বোনরা তার খোঁজ পেতে মানববন্ধনও করেছেন। তারা সবই জানতেন। তাই মনিকা অপহরণের পুরো তদন্তে মনিকার দুই মেয়ে ও বোনরা পুলিশকে কোনো সহযোগীতা করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার উত্তর মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত উপ কমিশনার উত্তর মো. কামরুজ্জামান।
মনিকা পুলিশের কাছে ভিকটিম ও আসামি হওয়ায় তাকে সংবাদ সম্মেলনে হাজির করা হয়নি।
একুশে/এসসি
ছবি : আকমাল হোসেন